আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযোগে যা রয়েছে
সাড়া জাগানো বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই ব্রিটিশ পুলিশ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুরোধ সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কম্পিউটার জালিয়াতিবিষয়ক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। তার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়, ইকুয়েডর সরকারের উচ্চপর্যায়ের দুটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে, কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে গত বৃহস্পতিবার তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়েছে।
মার্কিন সংবিধানের পেনাল কোড অনুযায়ীয় জালিয়াতির ধারা সেকশন ৩৭১। আর কম্পিউটার জালিয়াতিবিষয়ক ষড়যন্ত্রের ধারা সেকশন ১০৩০। এই দুই ধারায় দায়ের করা য্ক্তুরাষ্ট্রের করা অভিযোগে বলা হয়, মার্কিন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যবিষয়ক বিশ্লেষক ম্যানিং ইরাকে ফরওয়ার্ড অপারেটিং ঘাঁটিতে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ‘অতি গোপনীয়’ তথ্যের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যে তিনি এমন কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করবেন না যাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয় এবং বিদেশি রাষ্ট্র লাভবান হয়। নির্বাহী আদেশ ১৩৫২৬ অনুযায়ী ‘অতি গোপন’ তথ্য এমন কাউকে দেওয়া যাবে না যার সেটি দেখার অনুমোদন নেই। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জেরও সেই অনুমতি ছিল না। তাকে তথ্য সরবরাহ করায় ওই ধারা ভঙ্গ করেছেন ম্যানিং।
"