আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে পুলিশ কর্মকর্তা
বিকল্পধারার সংবাদ মাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাস থেকে বের করে না দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দূতাবাস ভবনে দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রবেশ করেছেন। উইকিলিকস তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে রাপ্টলির ধারণা একটি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এতে দেখা যায়, দূতাবাস ভবনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর পুলিশ কর্মকর্তা দুজন বের হয়ে আসেন।
ইকুয়েডর তাদের লন্ডন দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে; উইকিলিকসের টুইটারে এমন আশঙ্কা প্রকাশের পর গত শুক্রবার থেকেই দূতাবাসের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। অ্যাসাঞ্জকে বহিষ্কারের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা ত্যাগ করতে নারাজ।
গত সোমবার উইকিলিকস টুইটারে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে দূতাবাস ভবনের বাইরে সাদা পোশাকের চার ব্যক্তিকে চলন্ত গাড়িতে বসে থাকতে দেখা গেছে।
দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়ার আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মধ্যে ইকুয়েডরের আদালতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দেওয়া বক্তব্যের অনুলিপি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস। এতে অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, রাতে দূতাবাস ভবনে লোকজন জানালা দিয়ে
প্রবেশে চেষ্টা করেছে। আমি হত্যার হুমকির মুখে আছি। এটা কোনো কৌতুক নয়, এটা গুরুতর বিষয়।
২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৮ সালের জুনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুরক্ষার অবসান ঘটাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। উইকিলিকস একই রকমের অভিযোগ করে আসছেন।
"