আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ এপ্রিল, ২০১৯

সমীক্ষায় এগিয়ে মোদি, পিছিয়ে এনডিএ

ম্যাজিক ফিগার ২৭২। সমীক্ষা বলছে, গতবারের থেকে ৬০টি আসন কমে বিজেপি এবার একা পেতে পারে ২২২। আর এনডিএ’র বাকি শরিকদের মিলিয়ে ২৬৭। কংগ্রেসসহ ইউপিএ পেতে পারে ১৪২। তৃণমূল, বাম, এসপি, বিএসপি বা আপ-এর মতো দুই জোটের বাইরের দলগুলো পেতে পারে মোট ১৩৪টি আসন।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে দেশে। প্রচার চলছে পুরোদমে। এই পরিস্থিতিতে সি-ভোটারের সর্বশেষ সমীক্ষার ফলে ভোটপ্রাপ্তির হার ও সম্ভাব্য আসন সংখ্যায় বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোট। মার্চের প্রথম দিন থেকে এপ্রিলের ৫ তারিখ পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মতামত যাচাই করে সি-ভোটার জানাচ্ছে, সরকার গড়ার খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে সরকার গড়তে যেখানে ২৭২টি আসন দরকার, শরিকদের নিয়ে মোদির জোট এনডিএ ২৬৭টি আসন পেতে পারে। মোট ভোটের ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে এই জোট।

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ৩০.৭ শতাংশ ভোট পেলেও সমীক্ষা অনুসারে বড় জোর ১৪২টি আসন পেতে পারে তারা। তৃণমূল, বাম, এসপি, বিএসপি বা আপ-এর মতো দুই জোটের বাইরের দলগুলো পেতে পারে ১৩৪টি আসন। মোট ভোটের ২৭.৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে এই দলগুলো। ইতিহাস বলছে, এইসব সমীক্ষা অনেক সময়ে একেবারেই মেলে না। রাজনৈতিক দলগুলোও এই সমীক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না। তবে এই সমীক্ষায় জনমতের একটা প্রতিফলন পড়ে বলে মনে করা হয়। সি-ভোটারের দাবি, এক মাসেরও বেশি সময়ে দেশের বিভিন্ন অংশের ৪৫,১৩৪ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে তারা এই সমীক্ষার ফলাফল তৈরি করেছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২৮২টি আসন। এইবার অমিত শাহের দল ৬০টি আসন খুইয়ে ২২২টি পেতে পারে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শিবসেনাসহ এনডিএ’র অন্য শরিকদলগুলো ৪৫টি আসন পেতে পারে বলে জানাচ্ছে সি-ভোটারের সমীক্ষা। অন্য দিকে ২০১৪-এর নির্বাচনে কংগ্রেসের ৪৪টি আসন এইবার অনেকটা বাড়লেও রাহুল গান্ধীর দল তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারছে না বলে ধারণা করছে সমীক্ষাটি। ইউপিএ’র শরিক দলগুলো ৫১টি পেলেও কংগ্রেসের আসন ৯১টির বেশি বাড়ছে না বলে সি-ভোটারের পূর্বাভাস। তবে কংগ্রেস জোট ৩০.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close