আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ এপ্রিল, ২০১৯

‘ডাকাতদের ভয় পাই না’

ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারের জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘দিদির সারা শরীর মারে ক্ষতবিক্ষত। আপনাদের মতো ডাকাতদের দিদি ভয় পায় না।’ তার কথায়, ‘দিদি ডাকাতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এত ‘আন্ডার এস্টিমেট’ করার কোনো কারণ নেই।’

তিনি ডাকাতদের ভয় পান না, বরং রুখে দাঁড়ানোর এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কটাক্ষের জবাব এভাবেই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘তিনি বলছেন দিদি ভয় পেয়েছে। দিদি ডাকাতদের ভয় পায় না, রুখে দাঁড়ায়।’

নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মোদিকে পাল্টা আক্রমণ করেন মমতা। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘মোদি ভোটের সময় বসন্তের কোকিলের মতো আসেন। নাটক করেন।’ আক্রমণ করেন বিজেপির প্রার্থীদের নিয়ে। আক্রমণ করেন গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেও। যে যে ক্ষেত্রে ভয়ের কথা বলছেন মোদি এবং বিজেপি নেতারা, তার সব কটি নিয়েই তিনি জবাব দেন গত রোববারের দুটি জনসভা থেকে।

তোলাবাজি, অনুপ্রবেশকারীদের মদদ প্রসঙ্গে মমতার পাল্টা জবাব, ‘বিজেপি কোচবিহারে একজন আর্মস ডিলারকে (অস্ত্র বিক্রেতা) প্রার্থী করেছে। জঞ্জাল বলে তাকে আমরা দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। তাকেই এখন বিজেপি কোলে তুলে নাচছে। এর সঙ্গে মমতা যোগ করেন, ‘আসলে বিজেপির তো লোকই নেই। তারা মানুষের জন্য কাজ করে না।’ বিজেপির কোচবিহারের প্রার্থী নিশীথ প্রামাডুককে নিয়ে দলের মধ্যেও দ্বন্দ্ব রয়েছে, বলছেন স্থানীয় লোকজনেরা। বিজেপির একটি অংশ, যারা দীর্ঘদিন ধরে দলটি করছেন, তারাও সে কথা ঘরোয়া আলোচনায় মেনে নিচ্ছেন। নিশীথ প্রার্থী হওয়ার পরে কোচবিহারে বিজেপির পার্টি অফিসে গোলমালও হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেই সময়ে দলের জেলা সভানেত্রী মালতী রাভাকে বিবৃতিও দিতে হয়েছে। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দেয়, যাকে প্রার্থী করা হয়েছে, তাকে সামনে রেখেই প্রচারে নামতে হবে।

একইসঙ্গে মমতা এ দিন আলিপুরদুয়ারে বিজেপির প্রার্থী জন বার্লাকেও আক্রমণ করেন। ময়নাগুড়ি এবং ফালাকাটা, দুটি সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘তরাই-ডুয়ার্সে দাঙ্গা লাগিয়েছিলেন যে জন বার্লা, তিনিই এখন বিজেপির প্রার্থী।’ আলিপুরদুয়ারের চা বাগান অঞ্চলে বার্লার প্রভাব ভালো। সে কথা মাথায় রেখেই তাকে প্রার্থী করা হয়েছে, বলছে বিজেপির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। বার্লাকে নিয়েও দলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে, দাবি ওই অংশের।

মমতা এ দিন মোদি সরকারের পাঁচ বছরের খতিয়ান তুলে ধরে তারও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে গদিতে থেকে মোদি কী করেছেন, তার কৈফিয়ত দিতে হবে।’ সেই তালিকা তুলে ধরে মমতার বক্তব্য, মোদির আমলে ২ কোটি চাকরি গিয়েছে। ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। বাংলার কৃষক কিন্তু ভালো আছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close