আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মোদি-মমতা পাল্টাপাল্টি
‘তোলাবাজির স্বর্গ পশ্চিমবঙ্গ’
কেন ভয় পেয়েছেন দিদি, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে দিদি ও ভাইপোর জুটি গুন্ডা, তোলাবাজ, অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে তুলেছে।’ দিদি ভয় পেয়েছে গত রোববার কোচবিহারে রাসমেলার মাঠের সভা থেকে সরাসরি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিড়ের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যত মোদি মোদি করেন, একজনের ঘুম উড়ে যায়। জানেন তিনি কে? তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্পিড ব্রেকার দিদি। রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন না তিনি।’
কেন ভয় পেয়েছেন দিদি, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে দিদি ও ভাইপোর জুটি গুন্ডা, তোলাবাজ, অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে তুলেছে।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজত্ব শেষ হয়ে যাবে, তাই দিদির এত ভয়। এর আগে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির সভা থেকেও ভয়ের কথা বলেছিলেন মোদি। মাঠের ভিড় দেখে সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই ভিড় দেখে দিদি ভয় পেয়ে যাবেন। এ দিনও রাসমেলার মাঠে ভিড় দেখে তিনি একই কটাক্ষ করেন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য বলছেন, সভায় যতই জনসমাগম হোক, তাতে ভয়ে কিছু নেই। কারণ, এর অনেকটাই টাকা খরচ করে নিয়ে আসা। এ দিন ফালাকাটার জনসভা থেকে এই একই অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের অনেকেই বলছেন, তাই মোদির সভার লোক সংখ্যা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া, মমতার সভাতেও যথেষ্ট ভিড় হচ্ছে।
মোদি এ দিন ভয়ের ওপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ঠিক করেছে, দিদির হাত থেকে মুক্ত হবে। এই ভাবনা দেশেরও।’ তিনি আরো দাবি করেন, বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পরে মমতাও তাদেরই পথে চলেছে। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় কিন্তু তা হয়নি। মানুষ বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে বিজেপিকে দিয়েছে।’ তার কথায়, এখানেও তা-ই হবে।
মোদির কথায়, মা-মাটি-মানুষের সঙ্গে যে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। তিনি বলেন, ‘মা-মাটি-মানুষ এক দিকে, তৃণমূলের সত্যতা আরেক দিকে। যারা ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে, ভোট ব্যাংকের জন্য দিদি তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’ এই প্রসঙ্গে নাম না করে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। ওমর সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের জন্য একজন এবং বাকি ভারতের জন্য আর একজন প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উসকে মোদি বলেন, ‘দিদি এখন এমন লোকেদের সঙ্গে চলেছেন, যারা ভারতে দুটি প্রধানমন্ত্রী চায়।’ মোদির কথায়, ‘এটা মাকে অপমান।’ এর পাশাপাশি এ দিনও মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, ২০১৪ সালের আগে প্রায় প্রতিদিন সন্ত্রাসবাদী হামলা হতো। একের পর এক জওয়ান শহীদ হতেন।
"