আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৬ এপ্রিল, ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও মোদির সমালোচনা

বঙ্গ বিজেপিকে ‘ছাগল’ ও নরেন্দ্র মোদিকে ‘গব্বর সিং’ বলে সম্বোধন করলেন তৃণমূল নেতা ববি হাকিম। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন ববি হাকিম।

তিনি এদিন বলেন, ‘এ রাজ্যের বিজেপি আসলে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। তার মতে এখানে বিজেপির কোনো সংগঠন নেই। তবুও এখানকার বিজেপির নেতারা অন্য রাজ্যে তাদের সংগঠন দেখিয়ে নিজেদের বলে জাহির করেন। দিল্লি ও সেইসঙ্গে দুই একটি রাজ্যে তাদের সংগঠন আছে বলে এখানকার বিজেপি নেতারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হয়ে তিড়িংবিড়িং করে নাচানাচি করছেন।’

শুধু বঙ্গ বিজেপিকেই নয়। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি কলকাতার মহানাগরিক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ ববি হাকিম। কুমারগঞ্জের দিওর এলাকার নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদিকে রীতিমতো ‘গব্বর সিং’ বলে তিনি সম্বোধন করেন। সেইসঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে ‘শোলে সিনেমার সাম্বা’ এবং ‘কালিয়া’ বলে সম্বোধন করলেন ববি হাকিম। ‘গব্বর সিং তার দুই চ্যালাকে পাঠিয়েছেন এ রাজ্য লুট করতে। কিন্তু তারা যখন খালি হাতে ফিরল তখন গব্বর সিং তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করে জানতে পারেন যে, এখানে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তারা পেরে উঠছেন না। কারণ একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে এ রাজ্যের ১৮ কোটি জনতা।’ দিওরের নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে ‘চম্বলের ডাকাত’ বলতেও ছাড়েননি তিনি।

এদিন ববি হাকিম জেলায় মোট তিনটি সভা করেন। প্রথমে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর। পরে কুমারগঞ্জের মোমিনপুর ও দিওর এলাকায়। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর নেতৃত্বে তিনটি সভারই প্রত্যেকটিতে ১০ হাজারেরও বেশিসংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়েছিল। দিওর এলাকার সভায় ববি হাকিম ও বিপ্লব মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুরের পুরপিতা প্রশান্ত মিত্র ও জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফেজ মিয়া। উপস্থিত ছিলেন দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষও।

এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার ববি হাকিমের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সাগরেদদের কাছ থেকে কুরুচিকর এমন ভাষা ছাড়া অন্য কিছু আশা করা যায় না। মোদিজির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে নিয়ে তারা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীয়বার বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরাজ্যের তৃণমূল নেতাদের লুঠতরাজ বন্ধ হয়ে যাবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close