আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ মার্চ, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ইদাই

ভূমিধসের কবলে জিম্বাবুয়ের স্কুল

জিম্বাবুয়ের পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের তান্ডবে নিহত ৬৪ জনের মধ্যে দুটি বোর্ডিং স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন। বিবিসি খবরে বলা হয়, রাতে পর্বত থেকে ধসে পড়া পাথর ছাত্রাবাসের একটি দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে; শিক্ষার্থীরা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর পার্বত্য জেলা চিমানিমানির চার্লস লওয়ানগা সেকেন্ডারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে আটকাপড়া ২০০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে ডিপার্টমন্টে অব সিভিল প্রটেকশন জানিয়েছে।

আরেক ঘটনায় এক বাসচালক ছোট একটি নদী পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে বন্যার তোড়ে বাসটি ভেসে যায়, এরপর থেকে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির মানিকাল্যান্ড প্রদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটেছে। এখানে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ইদাই গত বৃহস্পতিবার সমুদ্র থেকে ওঠে এসে ১৭৭ কিমি/ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগ নিয়ে মানিকাল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী মোজাম্বিকের স্থলভাগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে মোজাম্বিকের বন্দর শহর বেইরার রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায় ও বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহরটির ৫ লাখ বাসিন্দা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড় ইদাইর তান্ডবে জিম্বাবুয়ের পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী জুলি মোয়ো বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ৩১ জন থেকে বেড়ে এখন ৬৪ জনেরও বেশি হয়ে গেছে। কয়েকটি লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখনো বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে গত রোববার জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

আরও ৭১ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পুরো মাত্রা পরিষ্কার হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই এর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মোজাম্বিক ও মালাউইতে ১২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close