আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৪ মার্চ, ২০১৯

ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে সব বিকল্প ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ফেরাতে সব বিকল্প নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত সব বিকল্পই টেবিলে রয়েছে। নিকোলাস মাদুরোর কবল থেকে ভেনিজুয়েলার জনগণের পরিত্রাণ পেতে যা যা করার প্রয়োজন হয় তা-ই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মাইক পম্পেও নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনিজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। এরপর দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনের মধ্যেই গত ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ভেনিজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এর মধ্যেই ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ফেরাতে সব বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনার কথা বললেন পম্পেও।

মাইক পম্পেও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন ভেনিজুয়েলার জনগণের নিকট গণতন্ত্র পৌঁছে দিতে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প সব উপায় নিয়ে ভাবছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি পুনর্র্নির্মাণ করে দেবে, যেখানে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য দেশটির জনগণ আবারও সম্পদের মালিক হবে।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভেনিজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পম্পেও। এ সময় ভেনিজুয়েলা সংকটের জন্য রাশিয়া ও কিউবাকে দোষারোপ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close