আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

কাশ্মীরে সহিংসতা অব্যাহত

নিরাপত্তা বাহিনী-জঙ্গি বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৭

কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আধাসামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়ি বহরে আত্মঘাতী হামলার রেশ না কাটতেই গতকাল সোমবার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গুলিতে নতুন করে চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মেজরও আছেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে পিংলান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে নিহত হয়েছে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাও। সবমিলে এখন পর্যন্ত সাতজনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এখনো এক জঙ্গির বন্দুকযুদ্ধ চলছে।

গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামাতে আরডিএক্স বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’র গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বহরের ৭০টি গাড়ির মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাণ হারায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য। হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মুহাম্মদ ঘটনার দায় স্বীকার করে দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, তাদের হয়ে পুলওয়ামারই বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার ওই হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে কাশ্মীর পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত রয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জঙ্গিদের উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ভোরে পুলওয়ামার পিংলান এলাকা ঘিরে ফেলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে তল্লাশি চালানোর সময় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এতে নিহত হয় পাঁচ সেনা সদস্য। পুলওয়ামায় সম্প্রতি আত্মঘাতী হামলা চালানো আদিল দারের সঙ্গে এ হামলাকারীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারা যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে বাড়ির মালিক নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আদিলের বাবা গুলাম হোসেনকে উদ্ধৃত করে জানায়, হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যু-পরবর্তী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পাথর ছোড়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে মার খেয়েছিল তার ছেলে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close