আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

কাশ্মীরে হামলা

বিস্ফোরণে দেহাবশেষ ও গাড়ির ভগ্নাংশ মিলেমিশে একাকার

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়ি বহরে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলা এতটাই শক্তিশালী যে, বিস্ফোরণের পর নিহতদের দেহাবশেষ ও গাড়ির ভগ্নাংশ আলাদা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তদন্তে নিয়োজিত গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণটি এতই শক্তিশালী ছিল যে মানুষের দেহাবশেষ গাড়ির ভগ্নাংশের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এটার মধ্যেই তাদের কাছ করতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলায় যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটার এক্সেল সম্ভবত তারা খুঁজে পেয়েছেন। এটা জোড়া লাগিয়ে গাড়ির মালিকানার তথ্য পাওয়া যেতে পারে। বিস্ফোরণে নিহত আত্মঘাতী হামলাকারীর কোনো দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (এনএসজি) বাহিনীর বোম্ব টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বোমাটি ১০০-১৫০ কেজি আরডিএক্স ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

এনএসজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে আর কোনো বোমা ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাননি। তবে এত বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স কীভাবে পুলওয়ামা আনা হলো এবং গাড়িতে বসানো সম্ভব হয়েছ তা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা বলেছিলেন, ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে সিআরপিএফের বাসে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটনায় জইশ-ই-মুহম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আদিল আহমেদ দার।

তবে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, হামলায় যে গাড়ি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, তা এসইউভি নয়, ছিল সেডান। গাড়িতে ছিল আরডিএক্স, যা ছড়িয়ে পড়েছিল ১৫০ মিটার এলাকাজুড়ে। তবে বাসে ধাক্কা মারেনি ঘাতক, বরং রাস্তার বাঁ দিক দিয়ে গাড়ির বহরের ৭৮টি বাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গোয়েন্দারা জানান, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে, একজনের দেহ ছিটকে ৮০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে।

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন সাবেক আফগান যোদ্ধা আবদুল রশিদ গাজী। সাবেক এই আফগান যোদ্ধা একজন আইইডি স্পেশালিস্ট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close