আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯

কলকাতার ব্রিগেড থেকে বিজেপির ‘বিদায় ঘণ্টা’ বাজানোর প্রস্তুতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড ময়দান থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বিদায় ঘণ্টা’ বাজানোর জোরালো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের পক্ষ থেকে আজ শনিবার বিজেপিবিরোধী সর্বভারতীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক জনসমাবেশ হবে। রাজ্য প্রশাসনের মতে, ব্রিগেডে কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষের সমাবেশ হতে চলেছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দিনে দেশের উন্নতিকল্পে ব্রিগেডের মহামঞ্চে বিজেপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজবে। ওই সমাবেশে ডা. ফারুক আবদুল্লাহ, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, দেবগৌড়া, স্ট্যালিনসহ বিরোধী দলের অনেক নেতা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রিগেড ময়দানে উপস্থিত হয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু ওইদিন এখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, অনেক মুখ্যমন্ত্রী, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী নেতারা ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আসবেন, সেজন্য আমি এবং আমার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই সমাবেশের স্থান পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুব দরকার। এর পাশাপাশি ওই সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে করা যায়, সেজন্য আমরা একদম চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ মমতা ওই সমাবেশকে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‌্যালি’ নামে অভিহিত করে বলেন, ‘ওই সমাবেশ হবে ২০১৯ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মঞ্চ। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের বার্তা দেবেন।’

আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২৫টির বেশি পাবে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মোট ৫৪৩ লোকসভা আসনের বিজেপি ২৮২ আসন পেয়েছিল। ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসেবে যা ছিল মাত্র ৩১ শতাংশ। ব্রিগেড ময়দানের প্রস্তাবিত সমাবেশ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ও দৈনিক ‘পুবের কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান বলেছেন, দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম থেকে বিজেপি’র মতো একটা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে উৎখাত করার চেষ্টা করে এসেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বিজেপি’র মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। তার প্রচেষ্টাতেই বিজেপিবিরোধীরা যেভাবে দেশজুড়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাতে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। বিজেপি’র মতো স্বৈরাচারী দলকে মানুষই শায়েস্তা করবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেডের জনপ্লাবন থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের পতন সুনিশ্চিত হবে বলেও আহমদ হাসান ইমরান এমপি মন্তব্য করেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর ব্রিগেডের সভা চলাকালীন কলকাতা পুলিশের প্রায় সাড়ে আট হাজার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সভাস্থলে থাকবেন পুলিশের ১৮ জন ডিসি, ২৯ জন এসিসহ বিশাল বাহিনী। মঞ্চের বাইরে সাদা পোশাকে থাকবেন কমপক্ষে এক হাজার পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close