আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯

চীনা বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার কানাডীয় নারী

চীন ও কানাডায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেইজিং বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক কানাডীয় নারী। কানাডীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরে ওই নারীকে আটকে রেখে হয়রানি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সোমবার কানাডীয় রবার্ট লয়েড শেলেনবার্গকে ২০১৮ সালে প্রথমে ১৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। আপিল আদালত ওই সাজাকে ‘অপরাধের তুলনায় কম শাস্তি’ বর্ণনা করে গত সোমবার মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের টেলিকম জায়ান্টা ‘হুয়াওয়ে’র সিএফও মেং’কে গ্রেফতার করলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত হয়। রবার্টের বিরুদ্ধে রায় উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো অবনতির দিকে ঠেলে দেয়।

সম্প্রতি তি অ্যানা ওয়াং নামের এক নারীকে বিমান থেকে টেনে বের করে আনে ছয় পুলিশ। আলাদা করে ফেলা হয় তার স্বামীর কাছ থেকে। মেয়েসহ দুই ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয় তাকে। সিউল থেকে টরোন্টো যাচ্ছিলেন তারা। বেইজিংয়ে ছিল ট্রানজিট।

ওয়াং বলেন, ‘আমি খুবই বিস্মিত ও আতঙ্কিত। কোনো কারণ ছাড়া শুধুমাত্র হয়রানি করার উদ্দেশে আমাকে আটক করা হয়েছিল।

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কোনো সম্পর্ক নেই।

গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানায়, সে সময় ওয়াংকে তার কম্পিউটার ও মোবাইলও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। চীনা কর্মকর্তারা বলেন, কানাডায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না ওয়াংয়ের।

২০০২ সালে ওয়াংয়ের বাবা সরকারপন্থি অধিকার কর্মী ওয়ার বিংজাংয়েকে ভিয়েতনাম থেকে গ্রেফতার করেছিল চীনা গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহে ভিসা থাকার পরও ওয়াংকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close