আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ জানুয়ারি, ২০১৯

বাণিজ্য ইস্যুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক

বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৈরী হয়ে গেছে। একে অন্যের ওপর কয়েক বিলিয়ন ডলার কর আরোপ করে বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে তারা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গতকাল সোমবার বৈঠকে বসছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একে অন্যের বিভিন্ন পণ্যের ওপর কয়েক বিলিয়ন ডলার কর আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি দুই দেশই ৯০ দিনের জন্য নতুন করে আর কোনো করারোপ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এটাই দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দুই দিনের বৈঠকে অংশ নেবেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। এ নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। এর মধ্যেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। এই বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন উপবাণিজ্য প্রতিনিধি জেফরেই জেরিস। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে করারোপ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত হওয়া কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে মতানৈক্য আছে তা বেইজিংয়ের এই বৈঠকে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভানস প্রিচার্ড বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কী পরিমাণ দূরত্ব রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য উদ্বেগ রয়েই গেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে শিল্পনীতি এবং মেধা সম্পত্তির অধিকার অর্জন।

গত ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জোরপূর্বক প্রযুক্তি হস্তান্তর, মেধা সম্পদের নিরাপত্তা, শুল্কবিহীন প্রতিবন্ধকতা, সাইবার অনুপ্রবেশ এবং সাইবার চুরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্মানের সঙ্গে কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করবে দুই পক্ষ।

পশ্চিমা দেশের অন্যান্য দেশের মতোই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানিগুলোর হুমকির বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহত্তম অর্থনীতির নেতৃত্ব নিতে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যযুদ্ধকে একটি লড়াই হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close