আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

হুয়াওয়ে নির্বাহীর বিরুদ্ধে ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ

চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝৌর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

গত শুক্রবার কানাডার আদালতের শুনানিতে এ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইর মেয়ে মেং গত ১ ডিসেম্বর ভ্যাঙ্কুভারে গ্রেফতার হন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ চীনা নাগরিকের জামিন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আদালতে শুনানি চলছে। আগামীকাল সোমবার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই মেংকে গ্রেফতারের এ ঘটনা ঘটল। এতে দু’দেশের মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। অশুভ ছায়া পড়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আপাতত বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনাতেও।

মেং তার গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার অনুরোধ জানানোর পর গত বুধবার হুয়াওয়ে নির্বাহীর আটকের এ খবর জানাজানি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিং মেংয়ের মুক্তি দাবি করে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কারণ না জানিয়ে এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাটা তার মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

মেং হুয়াওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্কাইকমকে ব্যবহার করে ২০০৯-১৪ পর্যন্ত ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছেন বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। স্কাইকম হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠান হলেও মেং বারবারই কোম্পানি দুটিকে আলাদা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন, ভাষ্য কানাডীয় কৌঁসুলিদের।

দোষী সাব্যস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ের এই ডেপুটি চেয়ারম্যানের সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে। গত শুক্রবার আদালতে হাজির মেংয়ের হাতে হাতকড়া দেখা যায়নি, জানিয়েছে বিবিসি। হুয়াওয়ের এ নির্বাহীর পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় তার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে বলে কানাডা সরকারের এক আইনজীবী জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close