আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হুয়াওয়ের নির্বাহীকে গ্রেফতার রাজনৈতিক নয় : ট্রুডো
চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেং ওয়াঝৌকে গ্রেফতারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনায় সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না বলেও দাবি করেছেন তিনি, জানিয়েছে বিবিসি।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ১ ডিসেম্বর হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেংকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের।
চীন এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হুয়াওয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মেংকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অটোয়া ও ওয়াশিংটনকে এ আটকের কারণ পরিষ্কার করে জানাতেও বলেছে তারা।
টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী মেং এর এ আটকের ঘটনায় কানাডার ওপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরের মধ্যে ট্রুডো এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। গত বৃহস্পতিবার মন্ট্রিয়লে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মেংকে গ্রেফতারের বিষয়টি কানাডার সরকার কিছুদিন আগে জেনেছে, যদিও কোনো ধরনের ভূমিকা রাখেনি।
‘আমরা এমন একটি দেশ, যাদের স্বতন্ত্র বিচার ব্যবস্থা আছে, এ বিষয়ে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই’ বলেন ট্রুডো। ১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করলেও কানাডীয় কর্তৃপক্ষ মেংকে আটকে রাখার কথা গত বুধবারের আগে জানায়নি। তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মেংয়ের গ্রেফতারের যোগ থাকতে পারে বলে গত বৃহস্পতিবার বেশকিছু পশ্চিমা গণমাধ্যম ইঙ্গিত দিয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের সন্দেহে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত চলছে।
মেং এর গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলেও কিছু বলতে রাজি হননি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
এর বদলে তিনি চীনা বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনার রীতি ও বিভিন্ন দেশে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
হুয়াওয়ে জানিয়েছে, অভিযোগ সম্পর্কে তাদের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই এবং মেং অন্যায় কোনো কিছু করেছেন বলেও তাদের জানা নেই। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কারণ না জানিয়ে এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাটা তার মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই মেংকে গ্রেফতারের এ ঘটনা ঘটল। এতে দু’দেশের মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। অশুভ ছায়া পড়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আপাতত বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনাতেও। কানাডা বলেছে, মেং তার গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার চেষ্টা নিয়েছেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করায় তারা এ ব্যাপারে বেশিকিছু জানাতে পারছে না।
"