আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

মের ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিবাদে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের পদত্যাগ

ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) খসড়া চুক্তির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডোমিনিক র‌্যাবসহ আরো কয়েকজন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার চুক্তির প্রতিবাদে প্রথম পদত্যাগ করেন ডোমিনিক র‌্যাব। এর এক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন কর্সংস্থান ও পেনসনমন্ত্রী এস্টার ম্যাকভে। জনগণ মের ব্রেক্সিট চুক্তিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবেই প্রত্যক্ষ করবে মন্তব্য করে পদত্যাগ করেন র‌্যাবের জুনিয়র ব্রেক্সিটমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।

এ ছাড়া জুনিয়র উত্তর আয়ারল্যান্ডমন্ত্রী শাইলেশ ভারা এবং পারলামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারি অ্যান মারিয়ে ট্রেভেলিয়ানও পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। পদত্যাগের এ হিড়িকে টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়ল থেরেসা মের সরকার। কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা বুধবার ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে একমত হন।এদিন দুপুরেই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে খসড়া নথিটির বিষয়ে মন্ত্রীদের সমর্থন চাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের।

চুক্তিটির ব্যাপক বিরোধিতা হয়েছে এদিনই। মন্ত্রিসভায় ৫ ঘণ্টার উত্তপ্ত অধিবেশনে সিনিয়র বেশ কয়েকজন মন্ত্রী মের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আপত্তি তোলেন। ব্রেক্সিট মন্ত্রী র‌্যাব বলেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে চুক্তিতে যে বিধান রাখা হয়েছে তা যুক্তরাজ্যের অখন্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

ওদিকে, মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভে আপত্তি জানিয়ে বলেন, চুক্তিটিতে তহবিল, আইন, সীমান্ত এবং বাডুজ্য নীতির ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের অভাব আছে। এতে করে যুক্তরাজ্য ব্রাসেলসের সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে যাবে বলেই তার আশঙ্কা। এর আগে জুনিয়র উত্তর আয়ারল্যান্ড মন্ত্রী শাইলেশ ভারাও একই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মের ব্রেক্সিট চুক্তিটিতে যুক্তরাজ্য কখন সারবভৌম দেশ হবে তার কোনো সময়সীমা আঁচ করা যাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হাউজ অব কমন্সকে বলছেন, ব্রিটিশ জনগণ চায় এ চুক্তির কাজ শেষ হোক। তবে বিরোধীদলের নেতা জেরেমি করবিন এ চুক্তিকে একটি বাজে চুক্তি আখ্যা দিয়েছেন। মে বুধবার সন্ধ্যায় খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।

ইইউ এরই মধ্যে সতর্ক করে বলেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে খসড়া চুক্তি হলেও বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেক কাজ বাকি। চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য ইইউ বেশ কয়েকটি বৈঠকেরও দিন নির্ধারণ করেছে। এরই একটি হতে পারে ২৫ নভেম্বরে। ওই বৈঠকে ব্রেক্সিট চুক্তিটি অনুমোদন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মে চুক্তিটিতে তার মন্ত্রিসভার সমর্থন পেলেও পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদন করাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close