আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৬ নভেম্বর, ২০১৮

মিয়ানমারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিকের আপিল

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে মিয়ানমারে সাত বছরের কারাদ-প্রাপ্ত দুই রয়টার্স সাংবাদিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। গতকাল সোমবার সকালে ইয়াঙ্গুনের হাইকোর্টে দুই সাংবাদিকের পক্ষে আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়াও লোনে এবং কিয়াও সোয়েও। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সাত বছর করে কারাদ- ঘোষণা করেন ইয়াঙ্গুনের এক জেলা আদালত। আদালতে শুনানির সময়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার দেওয়া সাক্ষ্যে বলেছিলেন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে কিছু নথি হাতে ধরিয়ে দিয়ে আটক করা হয়েছিল ওই সাংবাদিকদের। পরে বৈরী সাক্ষী ঘোষণা করে তাকেও কারাদ- দেন মিয়ানমার আদালত।

রয়টার্স সাংবাদিকদের কারাদণ্ড দেওয়ার সমালোচনা করে তাদের মুক্তি দাবি করে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। সাজা ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায় রয়টার্স সাংবাদিকদের কারাদ-ের পক্ষে সাফাই গান শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। কারাদ- দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সু চি বলেন, ‘সাংবাদিক হওয়ার কারণে তাদের কারাদন্ড দেওয়া হয়নি, গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করায় আদালত তাদের কারাদ- দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’

কারাদন্ড- ভোগরত ওই দুই রয়টার্স সাংবাদিক গতকাল সোমবার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে দাবি করা হয়, ঘটনাটি পুলিশের সাজানো এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। রয়টার্সের প্রেসিডেন্ট ও এডিটর-ইন-চিফ স্টিফেন জে অ্যাডলার বলেন, ‘আমরা একটি আপিল দায়ের করেছি, কারণ ট্রায়াল কোর্টের রায়টি ভুল।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close