আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৮

ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মশাকেই হাতিয়ার বানাচ্ছে আফ্রিকা

ম্যালেরিয়াবাহী মশা নিয়ন্ত্রণে জেনেটিকালি মোডিফায়েড মশা ছাড়তে যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো। সেখানে জিন পরিবর্তন করা প্রায় ১০ হাজার মশা প্রকৃতিতে ছাড়া হবে। এসব মশার জিন এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে এদের প্রজননে জন্ম নেওয়া মশাদের ৯০ শতাংশই হবে পুরুষ মশা। এত করে স্ত্রী মশার জন্মহার কমবে। এ কৌশলের কারণ, শুধু স্ত্রী মশাই ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়াতে পারে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, আফ্রিকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ ম্যালেরিয়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বুরকিনা ফাসোর বানা গ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে এ মশাগুলো ছাড়া হবে। যে গবেষণাগার এই প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে গ্রামটি তার কাছেই। এই গ্রাম বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, জেনেটিকালি মোডিফায়েড মশাগুলো ছাড়ার পর মশার প্রজননে কেমন পরিবর্তন আসে তা বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করবেন। তারা প্রত্যাশা করেন, এক বচ্ছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে, এই মশা কতটা কার্যকর। ঠিক কবে এসব মশা প্রকৃতিতে ছাড়া হবে তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। বিজ্ঞানীরা চান, জেনেটিকালি মোডিফায়েড এসব মশা এমন সময় ছাড়া হোক, যেন দ্রুত সেগুলো প্রজননের বয়সে পৌঁছে যায়। ম্যালেরিয়াবাহী মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেনেটিকালি মোডিফায়েড এমন মশাকে হাতিয়ার বানানোর প্রকল্পে বিল-মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন ৭ কোটি ডলারের অনুদান দিয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা থিজি মন্তব্য করেছেন, ‘ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এই উদ্যোগের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে, এটি খুবই সস্তা। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন মশা প্রকৃতিতে ছাড়া লাগবে না।’ তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নতুন মশাতে জিনগত যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা মানুষের জিনকে পরিবর্তিত করতে পারবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close