নেপালের মাউন্ট গুরজায় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা পর্বতারোহীদের একটি দল ও তাদের গাইডের মৃত্যু হয়েছে।

নেপালের কর্মকর্তারা জানান, তুষারঝড়ে ওই পর্বতারোহীদের ক্যাম্প সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার ভোরে উদ্ধারকারী দল ক্যাম্পের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সাত পর্বতারোহী ও তাদের নেপালি গাইডের লাশ দেখতে পেয়েছে। কিন্তু ঝড়ো বাতাস এবং প্রচন্ড তুষারপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

নেপাল পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ভাঙা গাছ এবং লন্ডভন্ড তাঁবু দেখে মনে হচ্ছে সেখানে তুষারঝড় হয়েছে। লাশগুলোও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। আট সদস্যের পর্বতারোহী দলের একজন এখনো নিখোঁজ বলেও জানান তিনি। হেলিকপ্টারে করে লাশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

‘ওয়াংচু শেরপা অব ট্রেকিং ক্যাম্প নেপাল’ এ অভিযানের আয়োজন করেছে। তারা জানায়, প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে পর্বতারোহী দলটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তারা দলটির খোঁজ শুরু করে।

‘গতকাল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমরা কয়েকজন গ্রামবাসী এবং একটি হেলিকপ্টার সেখানে পাঠাই।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পর্বতারোহী কিম চ্যাং-হো দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পর্বতারোহী কিম চ্যাং-হো বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই দলটি মাউন্ট গুরজার সাত হাজার ১৯৩ মিটার উপরে ক্যাম্প করেছিল। চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য সেখানে তারা আবহাওয়া অনুকূলে আসার অপেক্ষায় ছিল। নিহতদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পর্বতারোহী কিম চ্যাং-হো আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কিম ২০১৩ সালে সবচেয়ে কম সময়ে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার না করেই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি পাহাড় জয় করেন।

উচ্চতার দিক দিয়ে গুরজা বিশ্বে সপ্তম স্থানে। এটি নেপালের অন্নপূর্ণা অঞ্চলে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি পাহাড়ের মধ্যে আটটিই নেপালে।

"