আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে অভিযান বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনায় আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এই বিমান নিয়ে সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সবগুলো বিমানের জ্বালানি টিউবের পরীক্ষা করবে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

অস্ত্রের ইতিহাসে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমানকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বলে মনে করা হয়। যুদ্ধের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বেশ কয়েকবার অভিযানে নামানো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এটির। সামরিক অ্যাভিয়েশনের ভবিষ্যৎ বলে মনে করা হচ্ছে এই যুদ্ধবিমানকে। বিমানটি প্রস্তুত করেছে মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন। এফ-৩৫ বিমানটি হেলিকপ্টারের মতো অবতরণ করতে পারে। অন্যান্য যুদ্ধবিমানের মতো স্বল্প স্থানেও বিমানটি উড্ডয়ন করতে পারে। বিমানটিকে ‘অদৃশ্য’ বলে বেশ কয়েকবার আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও বিমানটিতে রাডার এড়িয়ে যাওয়ার মতো বেশ কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তা একেবারে অদৃশ্য নয়।

কিন্তু আফগানিস্তানে কথিত তালেবানের অবস্থানে হামলার জন্য এফ-৩৫ বিমান ব্যবহার করার একদিন পরেই দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। এফ-৩৫ বিমান তৈরিতে প্রতিটির জন্য খরচ পড়ে অন্তত ১০ কোটি ডলার। মার্কিন বাহিনী এ বিমানকে মেরিন কোরের জন্য প্রধান যুদ্ধবিমান বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এটা তাদের জন্য বিশাল ক্ষতি।

এরপর বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে অনেক ত্রুটি রেখেই উড্ডয়ন করে বিমানটি। কীভাবে এই ত্রুটি অভিযান চালানো হলো সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এফ-৩৫ জয়েন্ট প্রোগ্রাম অফিস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগী দেশগুলো এফ-৩৫ ব্যবহার করে আকাশ অভিযান স্থগিত করেছে। বিমানগুলোর ফুয়েল টিউব পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি ত্রুটি থাকে থাকে, তবে পরিবর্তন করা হবে। আর ঠিক থাকলে আবারও অভিযানে পাঠানো হবে।

এই প্রক্রিয়ার জন্য আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close