আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ অক্টোবর, ২০১৮

স্বাধীনতার দাবিতে আবার উত্তাল স্কটল্যান্ড

স্কটল্যান্ডের বাসিন্দারা স্বাধীনতার দাবি জোরদার করতে আবার সরব হয়েছে। গত শনিবার অঙ্গরাজ্যটির রাজধানী এডিনবরায় স্বাধীনতার সমর্থনে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। কর্মসূচির উদ্যোক্তা গ্যারি জে কেলি এক লাখ মানুষের অংশগ্রহণের দাবি করেছেন। যদিও শহর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে মিছিলে হাজার বিশেক মানুষ অংশ নিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের আগেরবারের গণভোটে স্বাধীনতার পক্ষে যথেষ্ট ভোট পড়েনি। এখন দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের দাবি তীব্র করে তুলতে চাইছে স্বাধীনতাপন্থীরা। স্কটল্যান্ডের মোট বাসিন্দা প্রায় ৫৫ লাখ।

অঙ্গরাজ্যটিতে ২০১৪ সালেও একবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে স্কটিশদের মন বদলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলেও, স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হতে যুক্তরাজ্যকে যে বেগ পেতে হচ্ছে তা দেখে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাপন্থীরা এবারের গণভোটে তাদের সফলতার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

আরেকটি গণভোটের সময় এগিয়ে আসতে থাকায় স্কটিশ জাতীয়তাবাদীরা প্রচারণা তীব্র করে তুলেছেন। শনিবার তারা স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে অবস্থিত হলিরুড পার্কে সমবেত হয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য থেকে ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে স্কটল্যান্ডকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দাঁড় করানোর পক্ষে কাজ করছে ‘স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি’ (এসএনপি)। রোববার শুরু হয়েছে তাদের বার্ষিক সম্মেলন।

পুলিশ স্বাধীনতার দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা হাজার বিশেক হিসেবে উল্লেখ করলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি মনে করেন, সেখানে আরো বেশি লোকের সমাগম হয়েছিল।

‘অল আন্ডার ওয়ান ব্যানারের’ নামে কর্মসূচিটির আয়োজন করেছিলেন গ্যারি জে কেলি। তার ভাষ্য, ‘এসএনপি বলেছিল, আমাদেরকে মুখ খুলতে হবে। আমরা তা করেছি। মানুষের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই স্পৃহা আছে।’ তার ধারণা মিছিলে লাখখানেক লোক সমবেত হয়েছে। জনসন টেরেস থেকে দুপুর একটার দিকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শনিবার সকাল থেকেই হলিরুড পার্কে সমবেত হতে থাকেন স্বাধীনতাপন্থীরা। সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। পার্কের দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‘হিস্টরিক এনভায়রনমেন্ট স্কটল্যান্ড’ বলেছে, সেখানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ছিল না আয়োজকদের। তবে মিছিলটি নিয়ে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য তারা পুলিশকে সহযোগিতা করে গেছেন।

অন্যদিকে ‘অল আন্ডার ওয়ান ব্যানার’ দাবি করেছে, ‘চলাফেরার স্বাধীনতাকে’ সুরক্ষা দেওয়া আইনের বলে পার্কে যাওয়ার আইনগত অধিকার তাদের রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে পার্ক ব্যবহারের অনুমতি না দেয় তাহলে তাদেরকে চারপাশের সব দুর্গের দিকে তাকাতে হবে। সেগুলোর সবগুলোতে ইউনিয়ন জ্যাক উড়ছে। সেটা তো রাজনৈতিক পরিচয়ই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close