আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০২ অক্টোবর, ২০১৮

আহভাজ হামলা

জঙ্গিদের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

ইরানের আহভাজে সামরিক কুচকাওয়াজে চালানো সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সিরিয়ায় একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। আহভাজ হামলার জন্য ওই জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে দায়ী করেছে ইরান। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২২ সেপ্টেম্বর ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে চালানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির ইসলামি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর ১২ সদস্যসহ ২৫ জন নিহত হয়। সোমবার রক্ষী বাহিনীর দাফতরিক নিউজ সাইট সেপাহ নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ইরানের স্থানীয় সময় ভোররাত ২টায় সিরিয়ায় পূর্বাঞ্চলে আমেরিকা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সমর্থনপুষ্ট ‘তাকফিরি সন্ত্রাসীদের’ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। ইরানি কর্মকর্তারা সুন্নি মুসলিম কট্টরপন্থিদের বোঝাতে প্রায়ই ‘তাকফিরি’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। ইরানে শিয়া মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। হামলায় যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো ৫৭০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী। পশ্চিম ইরান থেকে সিরিয়ায় ওই এলাকায় ছয়টি ক্ষেপণস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী এই সামরিক বাহিনীটি তাদের দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে।

হামলার সময় জঙ্গিদের লক্ষ্যস্থলগুলোতে বোমাবর্ষণ করতে সাতটি ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বহু নেতা ও তাদের রসদ ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে রক্ষী বাহিনী। বিবৃতিতে তারা বলেছে, শত্রুদের যে কোনো দুর্বৃত্তপনা ও অপকর্মের জবাব দিতে আমাদের বজ্রমুষ্ঠি চূড়ান্ত ও মোক্ষম আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

রাতের আকাশ ফুঁড়ে এগিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে ইরানের পার্স নিউজ। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটির গায়ে ‘সৌদ পরিবারের মৃত্যু’, ‘আমেরিকার মৃত্যু’ ও ‘ইসরায়েলের মৃত্যু’ কথাগুলো লেখা ছিল।

ইরানের সংখ্যালঘু আরব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংগঠন আহভাজ ন্যাশনাল রেজিসট্যান্স ও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) উভয়েই আহভাজ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তবে এই গোষ্ঠী দুটির কোনোটিই তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করেনি।

হামলাকারী গোষ্ঠীগুলোর পেছনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলে অভিযোগ ইরানি কর্তৃপক্ষের। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইউএই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close