আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হংকংয়ে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিক দল

স্বাধীনতাপন্থী একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করল হংকং। ২১ বছর আগে যুক্তরাজ্য শহরটির নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সেখানে হংকং ন্যাশনালিস্ট পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় না দেওয়ার ব্যাপারে জোরালো অবস্থান নেওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হংকং।

১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করে ব্রিটেন। চীনের অধীনন্ত হলেও সাবেক এই ব্রিটিশ উপনিবেশটির মৌলিক আইন সম্বলিত একটি সংবিধান রয়েছে, যার মাধ্যমে আধা সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে কিছু সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। গত অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে চলা চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওই সংবিধান। তবে আধা-সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হংকং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ কিছু বিষয়ে মূল ভূখন্ডের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে সেখানে দিনকে দিন ভিন্নমত দমনের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে হংকং ন্যাশনালিস্ট পার্টিকে (এইচকেএনপি) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দলটি চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন ভিয়েতনাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাজনীতি করে। দলটিতে খুব বেশি সদস্য না থাকলেও সংগঠনের সদস্যদের স্বাধীনতার জোরালো দাবির কারণে সেখানে দলটি খুবই সুপরিচিত। একে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ যুক্তরাজ্যসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। তারা সে সময় হংকংয়ের অধিকারের সুরক্ষার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়। তা সত্ত্বেও ওই রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ চলমান থাকে।

জুলাইয়ে হংকং পুলিশের পক্ষ থেকে দ্য হংকং ন্যাশনাল পার্টি নামের ওই দলটি এবং এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি চ্যান হো-তিনের ব্যাপারে তাদের নেতিবাচক অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। সে সময় অ্যান্ডি চ্যান হো-তিনের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়, কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ‘জাতীয় নিরাপত্তা বা সুরক্ষা এবং জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষার স্বার্থে দলটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার হংকংয়ের নিরাপত্তা অধিদফতর জানায়, তারা পুলিশের সুপারিশটি গ্রহণ করে সোসাইটিজ অধ্যাদেশের মাধ্যমে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। ওই অধ্যাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের সুরক্ষার প্রশ্নের বিবেচনায় কোনো গোষ্ঠী বা দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close