আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মনোভঙ্গির পরিবর্তন হলেই ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা

বললেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

কিউবার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘অস্বাভাবিক’ মনোভঙ্গির বদল না ঘটা পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না কিউবান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল। ভেনিজুয়েলাভিত্তিক টিভি চ্যানেল টেলিসুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করেছে টেলিসুর। এপ্রিলে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই সংবাদমাধ্যমকে ডিয়াজ কানেলের দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার মধ্যে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে। এরপর পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ কারণে পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কও নষ্ট হয়। পরে কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় ওবামা প্রশাসন। দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিও হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর আবারও দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। গত বছরের জুনে ওবামা প্রশাসনের কিউবা নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

টেলিসুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিউবার প্রেসিডেন্ট ডিয়াজ কানেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মনোভঙ্গির বদল না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে রাজি নন। পূর্বসূরি রাউল কাস্ত্রোকে প্রতিধ্বনিত করে ডিয়াজ বলেন, ‘আমরা সংলাপ চাই, তবে তা সমান সমান হতে হবে। আরোপিত কিছু আমরা গ্রহণ করব না এবং ছাড় দেওয়ার ইচ্ছে আমাদের নেই।’ গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাভানায় অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিবিদদের ওপর সনিক অ্যাটাক (শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে হামলা) হওয়ার অভিযোগ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় বেশ কজন মার্কিন কূটনীতিক রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে সনিক অ্যাটাকের খবর অস্বীকার করে আসছে কিউবা। টেলিসুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিয়াজ আরো দাবি করেন, ‘কিউবা হামলা চালায় না, কিউবা আত্মরক্ষা করে, কিউবা বিনিময় করে।’

২০০৮ সালে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা এবং নিজের ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রাউল কাস্ত্রো। গত এপ্রিলে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর রাউল ক্যাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হন তার প্রধান সহযোগী মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরে গেলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে থাকছেন রাউল। টেলিসুরকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বার বারই ফিদের ও রাউলের নাম উচ্চারণ করছিলেন ডিয়াজ। তিনি জানান, রাউল তার ‘পিতৃ সমতুল্য’ এবং প্রায় প্রতিদিনই তাদের দুইজনের কথা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close