আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লিয়াজোঁ অফিস খুলেছে দুই কোরিয়া

কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম যৌথভাবে লিয়াজোঁ অফিস খুলেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্য দিয়ে নিয়মিতই দুই পক্ষে যোগাযোগ হবে। শুক্রবার দুই কোরিয়ার সীমান্তের উত্তরের অংশে কায়েসং শহরে এ সংযোগ কার্যালয় খোলা হয়েছে। এতে করে দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে যাওয়ার নতুন আশা জেগে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একত্রীকরণ মন্ত্রী চো মায়ুং-জিওন বলেছেন, এ কার্যালয়ে দুই কোরিয়ার পক্ষ থেকে ২০ জন করে কর্মী রাখা হবে। দুই দেশই এ লিয়াজোঁ অফিসের মাধ্যমে ‘২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ দিনই সরাসরি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা’ করতে পারবে। তাছাড়া দুই দেশের উপমন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ অফিসে সাপ্তাহিক বৈঠকও হবে।

আগামী সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ে তৃতীয় বৈঠকে বসবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তার আগেই দুই দেশের মধ্যে এ অফিস খোলা হলো। উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যখন দেশটির ওপর নিরন্তর চাপ বহাল রেখে চলেছে ঠিক তখনই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত জুনে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর এ পর্যন্ত কোরিয়া উপদ্বীপে নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা স্থবির হয়ে আছে।

কিন্তু এ পরিস্থিতির মধ্যে লিয়াজোঁ অফিস খোলার পদক্ষেপ এ ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, দুই কোরিয়া তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর, বলেছেন বিবিসির সিউল বিষয়ক এক সংবাদদাতা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান রি সন গাউন বলেন, আন্তঃকোরিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ এখন খুব দ্রুত এবং খোলামেলা আলোচনা করতে পারবে এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও কোরিয়া উপদ্বীপে একত্রীকরণের পথে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে।

লিয়াজোঁ অফিস খোলার আগে দুই কোরিয়া কেবল ফ্যাক্স এবং বিশেষ টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারত। দুই পক্ষে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে এ যোগাযোগ প্রায়ই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close