আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

এবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-কিম বৈঠক!

উত্তর কোরিয়ার নেতার ‘উষ্ণতায় ভরা’ বার্তা পেয়ে হোয়াইট হাউস দুই নেতার দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অগ্রগতি আনার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। ‘উষ্ণতায় ভরা’ এক চিঠিতে তিনি এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। হোয়াইট হাউস তার এ ইচ্ছায় ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এবার ওয়াশিংটনেই দুই নেতার দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির করার তোড়জোড় চলছে। গত জুন মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথম শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু পরীক্ষার স্থানটি অকেজো করে পরমাণু পরীক্ষার পথ বন্ধ রেখেছে পিয়ং ইয়ং। সেইসঙ্গে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও বন্ধ রেখেছে সে দেশ। এমনকি রবিবার রাষ্ট্রের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজেও সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন না করে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন কিম জং উন। তবে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ভা-ার অক্ষত থাকায় যে কোনো সময় সেগুলো কাজে লাগানো সম্ভব। প্রকাশ্যে সমালোচনা না করলেও ট্রাম্প যে উত্তর কোরিয়ার আচরণে সন্তুষ্ট নন, তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গত মাসে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পিয়ং ইয়ং সফর বাতিল করেছিলেন।

কিম জং উনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। আগামী সপ্তাহে তিনি আবার পিয়ং ইয়ং সফর করবেন। এটি হবে দুই কোরিয়ার নেতার মধ্যে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক। ধাপে ধাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব পেশ করতে পারেন তিনি। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলে প্রেসিডেন্ট মুন এবার কিম ও ট্রাম্পের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করতে চাইছেন। সেই শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চান তিনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন অবশ্য মনে করেন, কিম জং উন এমন বৈঠকে অংশ নেবেন না। চলতি মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন মুন। তখনই এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি।

ট্রাম্প নিজে মুন ‘প্রধান মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। দুই দেশের পরমাণু বিষয়ক মধ্যস্থতাকারীরা মঙ্গলবার মিলিত হয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দুই কোরিয়ার বর্তমান নেতাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও তাদের পারস্পরিক ব্যক্তিগত রসায়নের প্রেক্ষিতে কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম কার্যকাল শেষ হবার আগেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার অঙ্গীকার করেছেন কিম। এই অবস্থায় ট্রাম্প ও কিম দ্বিতীয়বার মিলিত হলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির আশা করছেন তারা। তবে সব পক্ষের পছন্দের ফলাফল অর্জন করতে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close