আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন

১৭০০ কোটি ডলার ব্যয় বেড়েছে

পরবর্তী অর্থবছরের জন্য প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, সোমবার ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন’ নামের বিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৭১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের জাতীয় বাজেট অনুমোদন করেছেন তিনি। অনুমোদিত এই বাজেট সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেশি।

জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন প্রস্তাবনা বা এনডিএএ’তে সামরিক নীতি এবং এর বাস্তবায়নে কী পরিমাণ তহবিলের দরকার হবে তার রূপরেখা দেওয়া আছে। ট্রাম্প বলেছেন, এনডিএএ (ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট) আধুনিক ইতিহাসে আমাদের সেনাবাহিনী ও যুদ্ধ সৈনিকদের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করে তুলতে চাই।

নতুন প্রতিরক্ষা বাজেটে সামরিক ব্যয় অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি চীনের ‘জেডটিই করপোরেশন’ ও ‘হুয়াই টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের’ সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণও শিথিল করা হয়েছে। এতে চীনের হুমকির প্রসঙ্গও উল্লিখিত হয়েছে। বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং বিদেশে আগ্রাসী বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যবস্থাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছে দেশটি।

ট্রাম্পের নতুন প্রতিরক্ষা বাজেটে নাখোশ চীন : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদিত ২০১৯ অর্থবছরের নতুন প্রতিরক্ষা বিলে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কিছুটা শিথিল করা হলেও বিলটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। তাদের অভিযোগ, বিলটিতে চীনকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

সোমবার ট্রাম্প ৭১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ওই প্রতিরক্ষা বিল সই করেন। যেখানে সামরিক ব্যয় অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি চীনের ‘জেডটিই করপোরেশন’ ও ‘হুয়াই টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের’ সঙ্গে চুক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হয়েছে। তবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) নামক এ নতুন বিলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ওপর নজরদারি এবং তাইওয়ান বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই বিলে চীনা কোম্পানির ওপর নজরদারি ও তাইওয়ানকে শক্তিশালী করার প্রশ্নে পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট পেশের ব্যবস্থা রয়েছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ হয়েছে।

‘জেডটিই’ চীনের দ্বিতীয় বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। যেটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় পণ্য রফতানির অভিযোগ আছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা কোম্পানিটিকে শাস্তি দিতে চায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close