আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ আগস্ট, ২০১৮

সুফল পাচ্ছেন মরক্কোর চাষিরা

কৃষিকাজ থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য বাজারে আনা বা রফতানির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব বেড়েই চলেছে। মরক্কোয় এক জলবায়ু বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।

গোটা এলাকার চাষিরা বড় হাটে নিজেদের পসার নিয়ে আসেন। তাদের ফসল কেমন হয়েছে, এসিআরই প্লাস প্রকল্পের মাক্সিম সুভিনিয়ে তা জানতে চান। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের কৃষি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এড়াতে বীমা চালু করার লক্ষ্যে এক গবেষণা প্রকল্পের সমন্বয় করছেন তিনি। মাক্সিম বলেন, ‘মরক্কোয় ছোট চাষিদের জন্য আগে থেকেই বীমা চালু রয়েছে। সরকারি ভর্তুকির কল্যাণে বীমা কোম্পানিগুলো তাদের নানা পরিসেবা দেয়। কিন্তু সেটা আমাদের লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে না। আমরা গোটা ‘ভ্যালু ক্রিয়েশন চেন’ এর জন্য সমাধান সূত্র দিতে চাই।’ মাঠে বীজ বপন থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল প্যাকেজিং ও তার পরিবহন পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সব ব্যক্তির জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে বীমা করা হচ্ছে। সুস এলাকার সমতলভূমিতে কৃষিকাজই আয়ের মূল উৎস। কিন্তু খরা থেকে বন্যা চরম আবহাওয়ার সব রূপই বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। আঞ্চলিক রাজধানী তারুদঁ-য় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে চরম আবহাওয়ার প্রভাব সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যা গোটা অঞ্চলের ক্ষতি করছে। রাস্তাঘাট ও সেতু বিশেষভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই। সেখানকার পৌরসভার সভাপতি সমাইল এলহারিরি বলেন, ‘শহরের সেতুসহ সব অবকাঠামোর সুরক্ষার ব্যয়ের মাত্রা জানতে আমরা এক রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম। দেখা গেল, ৮ লাখ ইউরোর বেশি ব্যয় হবে। শহর কর্তৃপক্ষ তার ২০ শতাংশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩০ শতাংশ দেবে। বাকি ৫০ শতাংশের জন্য আমাদের দাতা খুঁজতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close