আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিফার জেলগুলোতে অভিজ্ঞতা কেমন হয়?
মার্কিন সাংবাদিক মলি জাকারম্যান এবারের বিশ্বকাপে খুব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ফিফার কয়েদখানার ভেতরটা কেমন। রাশিয়া ও মিসরের মধ্যকার খেলার দিন তাকে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের নিচে অবস্থিত কয়েদখানায় ৫ ঘণ্টা কাটাতে হয়েছে। সঙ্গে ছিল আরো ছয়জন। সেখানে এমনকি নিরাপত্তারক্ষীও ছিল।
তার অপরাধ হলো তিনি তার এক বন্ধুর নামে ইস্যু করা ফ্যান আইডি কার্ড ব্যবহার করে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। রাশিয়াতে এই কার্ড এমনকি টুরিস্ট ভিসা হিসেবেও ব্যবহার করা গিয়েছে। মলি জাকারম্যান বলছিলেন, আমি ভেবেছিলাম ধরা পড়লে এমন কি আর হবে। বড় জোর মাঠে ঢুকতে দেবে না। ফিফাকে আমরা শুধু ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেই জানি। কিন্তু কোনো দেশকে ফিফা যখন বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে তখন তাকে ফিফার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচুর নিয়ম মেনে নিতে হয়। মলি জাকারম্যানকে ৫ ঘণ্টা ফিফার জেলখানায় বন্দি হয়ে কাটাতে হয়েছে। ফিফার এই আয়োজনের জন্য নতুন আইন প্রবর্তন করা এমনকি নতুন ধরনের আদালত তৈরি করার ইতিহাসও রয়েছে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের সময় ফিফার নিয়ম ভঙ্গকারীদের সামাল দেয়ার জন্য এমনকি এক ধরনের আদালত পরিচালনার অনুমোদন নিয়েছিল ফিফা। সেই আদালতের নাম ছিল ‘ফ্ল্যাশ কোর্ট’, যার আওতায় এমনকি ফিফার পণ্য সম্পর্কিত নিয়ম ভঙ্গের বিচারও করা হয়েছে। কিন্তু রাশিয়াতে এমনিতেই রয়েছে কঠোর নিয়মকানুন। সেখানে প্রায় সব ধরনের খেলার স্টেডিয়ামে আগে থেকেই কয়েদখানা রয়েছে। যেখানে বিশৃঙ্খল ফ্যানদের জায়গা হয়। মলি জাকারম্যান ধরা পড়েছেন কার্ডের ছবিটি একজন নিরাপত্তারক্ষী দেখা ফেলার কারণে।
তিনি বলছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে ৩০ জনের মতো আমাকে ঘিরে ধরল। একজন আমার ব্যাগ খুলে দেখল এবং এভাবেই আমার জেলযাত্রার শুরু। ১০ বছর আগে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ খরচ করে এটি তৈরি করা হয়েছে। মলি জাকারম্যান বলছিলেন, জায়গাটা খুব একটা বড় নয়। একজন টুর গাইডকে মেক্সিকান এক নাগরিক তার মেয়ের টিকিটটি দিয়েছিলেন। ওই লোকটিও ছিল আমার সঙ্গে। দুইজন ছিল খুবই মাতাল। তার বর্ণনায় ভেতরে তিনটি সেল যেখানে মাতালদের রাখা হয়। বাকিদের জন্য আলাদা এলাকা। বাইরে একটি ডেস্কে বসে একজন পুলিশ আটকদের জবানবন্দি নিচ্ছিলেন। মলি কিছুটা রাশিয়ান ভাষা বোঝেন। তাই গার্ডদের কথাবার্তা খানিকটা বুঝেছেন।
"