আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘হরমুজ প্রণালি হয় সবার, নয়তো কারো নয়’
ইরানের তেল রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিলে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে তেহরান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলি জাফরি। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে ইরান যদি হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেলের চালান না নিতে পারে তাহলে অন্য সবার জন্যও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপে তেল রফতানির অন্যতম প্রধান রুট হরমুজ প্রণালি বন্ধে ইরানের প্রেসিডেন্টের হুমকি বাস্তবায়নে বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তৈরি আছে, বৃহস্পতিবার জাফরির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাসনিম এমনটাই জানিয়েছে। ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর কমান্ডার জাফরি বলেন, প্রয়োজন পড়লে আমাদের প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনার কথা বলেছেন, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত; হয় সবাই হরমুজ প্রণালি ব্যবহার করতে পারবে, নয়তো কেউ পারবে নাÑ আমরা আমাদের শত্রুদের এটি বুঝিয়েই ছাড়ব। হরমুজ প্রণালি হয়ে ইরানের তেল রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধা দিলে সেটি বন্ধের ব্যাপারে আগেই হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও। ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসার পর ইরানের ওপর ওয়াশিংটনের নতুন করে নিষেধাজ্ঞার পথ উন্মোচিত হয়েছে। ইউরোপীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে চুক্তি বাঁচাতে তৎপরতা চালালেও তাদের এ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে পর্যবেক্ষকদের। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে এরই মধ্যে ইউরোপীয় অনেক কোম্পানিও ইরানে বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে আসছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল রফতানিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হরমুজ প্রণালি নিয়ে এই বাধাবাধির ব্যাপারে সতর্ক করেছে চীন।
শুক্রবার দেশটির এক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক বলেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা কমাতে তেহরানের এগিয়ে আসা উচিত।
চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেন জিয়াদং বলেন, অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন ও যৌথভাবে তা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আরো কিছু করার আছে বলে বিশ্বাস করে চীন।
শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রভাব বাড়ছে। দেশটির আমদানি করা তেলের বড় অংশই আসে সৌদি আরব, ইরাক ও কুয়েত থেকে।
ইরানের পাশাপাশি সৌদি আরব, ইরাক, কাতার ও কুয়েতের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক আছে বেইজিংয়ের। কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহও পায় বেইজিং।
"