আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ জুলাই, ২০১৮

জার্মানিতে টিকে গেল মার্কেল সরকার

সরকার টিকে গেল। মার্কেল চ্যান্সেলর থাকছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেহোফার পদত্যাগ করছেন না। দীর্ঘ সংকটের পর সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়েছে। তবে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

অবশেষে শেষ রক্ষা হলো। আপাতত জার্মানির জোট সরকার ও দুই রক্ষণশীল দলের জোট অস্তিত্বের সংকট থেকে রেহাই পেল। সোমবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার তাদের সংঘাত মিটিয়ে নিয়েছেন। জার্মানির সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে অটল থাকার পর বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা সেহোফার শেষ পর্যন্ত এক আপস মীমাংসা মেনে নিলেন। তবে ‘ঐকমত্য’ সত্ত্বেও মার্কেল ও সেহোফার একসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এলেন না। সেহোফার বলেন, তিনি পদত্যাগ না করে মন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন।

সোমবারের বোঝাপড়ার আওতায় বাভেরিয়া-অস্ট্রিয়া সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রে আটক রাখা হবে। তারপর অস্ট্রিয়ার সম্মতি পেলে তাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া আগেই জার্মানির সীমান্ত থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। জার্মানিতে সোমবারের বোঝাপড়ার পরও অস্ট্রিয়া সীমান্তে সুরক্ষার উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ অবৈধ শরণার্থীদের শনাক্ত করে সীমান্তে এমন কেন্দ্রে আটক রাখলেও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়া তাদের সেই দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না, যেখানে তারা নিজেদের নথিভুক্ত করেছিল।

এমন ‘সমাধানসূত্র’ গত কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতা এই মুহূর্তে দূর করলেও আরও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। প্রথমত. জার্মানির বর্তমান জোট সরকারে ৩টি শরিক দল রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কেল-সোহোফার সংঘাতের সময়ে এসপিডি দল প্রায় নীরব ছিল। এবার সেই ‘সমাধানসূত্র’ কার্যকর করতে হলে এসপিডি দলেরও সম্মতির প্রয়োজন। অথচ ২০১৫ সালে ঠিক একই প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছিল এসপিডি। বর্তমান কোয়ালিশন চুক্তির মধ্যে এমন কোনো কর্মসূচির উল্লেখ না থাকায় তারা এই প্রস্তাব কার্যকর করতে বাধ্য নয়। সোমবার রাতে তিন দলের বৈঠকের পরে এসপিডি নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস বলেন, এখনো বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসপিডি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরকারি জোটের বৈঠকে যোগ দেবে। তাছাড়া সেহোফার এ যাত্রা নিজের মুখরক্ষা করতে পারলেও তার সঙ্গে চ্যান্সেলর মার্কেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। সোমবার দুপুরেও সেহোফার গর্জে উঠে বলেছিলেন, যাকে আমি চ্যান্সেলর বানিয়েছি, সেই আমাকে বরখাস্ত করবে! সরকারের কার্যকালের বাকি সময়ে দুই নেতা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দুই নেতার এই ব্যক্তিগত সংঘাতের ফলে ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল- ফেডারেল স্তরে সিডিইউ ও বাভেরিয়ার সিএসইউ পরস্পর থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। সেই ক্ষত আদৌ দূর করা সম্ভব কিনা, তাও স্পষ্ট নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist