আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন নৌবাহিনীর তথ্য চুরি
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে মার্কিন নৌবাহিনীর এক ঠিকাদারের কাছ থেকে চীন সরকার স্পর্শকাতর গোপন সামরিক তথ্য চুরি করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে, মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির একটি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সাইবার হামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছে সিবিএস নিউজ। যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চুরি গেছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এরা ডুবোজাহাজ ও সমুদ্রের নিচে অস্ত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা ও সেগুলোর উন্নয়নে কাজ করে।
অন্য এক ঘটনায় চীনের এক গুপ্তচরকে স্পর্শকাতর গোপন নথি সরবরাহের অভিযোগে সাবেক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। শুক্রবার ফেডারেল এসপিওনাজ অ্যাক্টে ৬১ বছর বয়সী কেভিন ম্যালরিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে তোলা হবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ম্যালরির সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। সিঙ্গাপুরে ১২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেইজিং ঘনিষ্ঠ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বৈঠকের কয়েকদিন আগেই ঠিকাদারের কাছ থেকে তথ্য চুরিতে চীনের সাইবার হামলার কথা প্রকাশ্যে এলো। রোড আইল্যান্ডের নিউপোর্টভিত্তিক সামরিক সংগঠন নেভাল আন্ডারসি ওয়ারফেয়ার সেন্টারের সঙ্গে হ্যাকিংয়ের শিকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ করত, ওয়াশিংটন পোস্টকে এমনটাই জানান মার্কিন কর্মকর্তারা।
সি ড্রাগন নামে একটি সামরিক প্রকল্প-সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি মার্কিন নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ সমৃদ্ধকরণ ইউনিটের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার লাইব্রেরিতেও প্রবেশাধিকার ছিল ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। ছিল ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডুবোজাহাজগুলোয় জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্তির পরিকল্পনার কথাও।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংযুক্ত সম্ভাব্য সব সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখতে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস নির্দেশ দিয়েছেন বলে পেন্টাগনের ইন্সপেক্টর জেনারেলের অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণে ‘গোপনীয় নয়’ এমন নেটওয়ার্কে তথ্যগুলো থাকলেও সামরিক প্রকল্পের সঙ্গে সংযোগ এবং আধুনিকায়ন হচ্ছে এমন প্রযুক্তির কথা থাকায় এসব তথ্যকে ‘খুবই স্পর্শকাতর’ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ মুহূর্তে এ বিষয়ের বিস্তারিত বলা ঠিক হবে না, বলেন মার্কিন নৌবাহিনীর কমান্ডার বিল স্পিকস। এফবিআইয়ের সহায়তায় মার্কিন নৌবাহিনীও ঘটনাটির তদন্ত করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
"