আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘বিন সালমানের সংস্কারে সৌদিতে বিদেশি বিনিয়োগে ধস’
সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের কথিত ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির কারণে দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগে ধস নেমেছে। জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বা আঙ্কটাড প্রকাশিত উপাত্ত থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছর সৌদি আরবে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ বা এফডিআই ১৪০ কাটি ডলারে নেমে গেছে। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল সাড়ে ৭০০ কোটি ডলার আর ২০১২ সালে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২২০ কোটি ডলার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চরম ব্যর্থতার কারণে তুলনামূলক অনেক ছোট অর্থনীতির দেশ ওমান ও জর্ডানের চেয়ে সৌদি আরব এ খাতে এখন পিছিয়ে পড়েছে। ওমানে গত বছর বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৯০ কোটি ডলার এবং জর্দানে ১৭০ কোটি ডলার। পাশাপাশি আঞ্চলিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে সৌদি আরব তার আকর্ষণীয় ও শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।
সৌদি আরবে আঞ্চলিক বিনিয়োগের শতকরা ৫ দশমিক ৬ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১?২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে যে বিনিয়োগ হয়েছে এটি তার এক চতুর্থাংশ। এ ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, কাতারের ওপর সৌদি নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশের সর্বাত্মক অবরোধ থাকার পরও দোহা বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। দেশটিতে ২০১৬ সালে এফডিআই ছিল ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে গিয়ে ৯৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারে ঠেকেছে। বিন সালমান অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিদেশি শ্রমিক ও কোম্পানিগুলোর ওপর উঁচু মাত্রার ট্যাক্স বসিয়েছেন। ফলে একদিকে যেমন কাজের লোক কমছে এবং উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে তেমনি বিপুল কর এড়াতে বিদেশি কোম্পানিগুলো সৌদিতে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
"