আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ জুন, ২০১৮

ফিলিস্তিনি চিকিৎসাকর্মী নাজারের জানাজায় জনতার ঢল

গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসাকর্মী রাজান আল নাজারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ২১ বছর বয়সী এ তরুণীর জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। নাজারকে হত্যার প্রতিবাদে তার মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিলও করেছেন তারা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, জানাজা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়েছে; জবাবে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল।

শুক্রবার (১ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হন নাজার। সে সময় তিনি গাজা সীমান্তে আহত বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভ চলার সময় আহত একজনকে চিকিৎসা দিতে তিনি ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ছুটে যান। সেখানেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনি নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ঘটনার দিন নাজার পেশাদার চিকিৎসাকর্মীদের মতো সাদা পোশাক পরে ছিলেন। তার ওপর তিনি ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে দুহাত ওপরে তুলে সংকেতও দিয়েছিলেন। তারপরও ইসরায়েলি সেনা সদ্যসরা তার ওপর গুলি চালায়। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নাজার।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার নাজারের জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। নাজারের মৃতদেহ ফিলিস্তিনি পতাকায় ঢেকে শোক মিছিল বের করা হয়। নাজারের শোকার্ত বাবার হাতে ছিল মেয়ের রক্তমাখা মেডিকেল জ্যাকেট। জানাজায় উপস্থিত জনতা নাজার হত্যার প্রতিশোধের দাবি তোলেন।

নাজার হত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে দ্য ফিলিস্তিন মেডিকেল রিলিফ সোসাইটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিকিৎসাকর্মীর ওপর গুলি ছোড়াকে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়।’

মার্চ অব রিটার্ন বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা নাজারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করবে। তাদের দাবি, হামাসই বেসামরিকদের জীবনকে হুমকিতে ফেলছে। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে অভিযান-সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং তারা গাজা সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস ইচ্ছাকৃত এবং পদ্ধতিগতভাবে বেসামরিকদের বিপদে ফেলছে।’

এর আগে তারা দাবি করেছিল, ইসরায়েলি স্নাইপাররা শুধু তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় যারা, স্পষ্টতই হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কখনো কখনো গুলি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে ভেদ করে তার কাছে দাঁড়ানো ব্যক্তির শরীরেও বিদ্ধ হয়। তারা পাঁচটি স্থানে বিক্ষোভ ‘দমন’ করেছে দাবি করে শুক্রবারের ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েলর বলেছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরেকজন সন্দেহভাজন নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত করার চেষ্টা করছিল। সে গাজা অংশে ফিরে যাওয়ার পর গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়।’ ইসরায়েলের কেউ প্রাণ না হারালেও তারা দাবি করেছে, গাজা থেকে ওড়ানো ঘুড়ি দিয়ে ইসরায়েলে ‘বোমা’ নিক্ষেপের কারণে কৃষিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist