আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩১ মে, ২০১৮

হাঙ্গেরিতে অভিবাসীদের সহায়তা করা অপরাধ

অনিয়মিত অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে সাহায্যকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে নতুন একটি আইনের খসড়া করেছে হাঙ্গেরির সরকার। বর্তমান অবস্থায় খসড়া আইনটি পাস হলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের তথ্যসংবলিত লিফলেট বিতরণ, অভিবাসীদের খাবার বা আইনগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ডানপন্থী সরকারি দল ফিদেস পার্টির আনা এই খসড়া আইন নিয়ে আগামী সপ্তাহে ভোটাভুটি হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এসব খবর জানিয়েছে। সিরিয়া ও ইরিত্রিয়া থেকে আসা এক লাখ ৬০ হাজার অভিবাসীকে অন্য ইউরোপীয় দেশে সরানোর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধিতা করছে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়া। ইতালি ও গ্রিসের শরণার্থী শিবিরগুলো জনাকীর্ণ হয়ে পড়ায় এ শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইইউ। হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট থেকে বিবিসির সাংবাদিক নিক থর্প জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে দেশটির সংসদে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটিতে এখন প্রবেশ চাওয়া অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংখ্যা কমে এসেছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে কাঁটাতারের ঘনত্বও দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। অরবানের ডানপন্থী ফিদেস পার্টির সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে নতুন আইনের বিষয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। গত মাসে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অরবান। অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে হাঙ্গেরিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানো বন্ধ করতে নিজেদের সংবিধানেও সংশোধন করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিনিয়োগকারী জর্জ সরোসের বিরোধিতা করতে খসড়া আইনটিকে বলা হচ্ছে ‘স্টপ সরোস অ্যাক্ট’।

দেশটির অভিযোগ জর্জ সরোস মুসলিম অভিবাসীদের ইউরোপে ঠেলে দেওয়ায় উৎসাহ যোগাচ্ছেন। অবশ্য মঙ্গলবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সরোস। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সভায় দাবি করেছেন তিনি ইউরোপীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করছেন।

ধারণা করা হয়, ২০১৫ সালে প্রায় ১০ লাখ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হাঙ্গেরিকে পথ হিসেবে ব্যবহার করেছে। এসব আবেদনকারীদের অনেকেই সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচতে দেশ ছেড়েছে। এদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য ছিল জার্মানি। তবে বলকান এলাকায় বেড়া বসানোয় ২০১৬ সালে এই সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে আসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist