আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ায় আবার মার্কিন হামলা
ইরানকে ঘাঁটি করতে দেব না : নেতানিয়াহু
সিরিয়ার দেইর আজ-যোর প্রদেশে কয়েকটি সামরিক অবস্থানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা চালিয়েছে। একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলেছে, আলবু কামাল ও হেমেইমের মাঝে কয়েকটি সেনা অবস্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়নি, শুধু সামরিক সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন কথিত এ জোট সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই দেশটির ভেতরে আইএসবিরোধী অভিযানের নামে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তবে এ পর্যন্ত তাদের হামলায় উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি বরং বহুবার তারা সিরিয়ার সেনা ও বেসামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরানসহ অনেকেই বলছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন এসব হামলার কারণে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন সিরিয়ায় ইরানকে ঘাঁটি করতে দেব না। তিনি বলেন ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, তার সরকার ইরানকে সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেবে না।
তেহরান অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহু বুধবার এক বক্তৃতায় এমন সময় এ দাবি করলেন যখন সিরিয়ায় ইরানের কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই এবং তেহরান কখনো সিরিয়ার মাটিতে ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেনি। তেহরান সিরিয়া সরকারের অনুরোধে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দামেস্ককে সামরিক উপদেশ দিয়ে সহযোগিতা করছে মাত্র।
সিরিয়ায় তৎপর জঙ্গিরা পুরোপুরি উৎখাত হয়ে যেতে পারে বলে ইসরাইল মারাত্মক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী গত কয়েক মাসে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফ্রন্টের যুদ্ধে বড় ধরনের বিজয় অর্জন করেছে। এসব বিজয়ে ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সম্প্রতি সিরিয়ার বেশ কিছু শহর জঙ্গিদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করে দেশটির সেনাবাহিনী। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে ইসরাইলের অনুকূলে বদলে ফেলার লক্ষ্যে আমেরিকা, সৌদি আরব ও তাদের মিত্রদের সহযোগিতায় ২০১১ সালে সিরিয়ার ওপর সন্ত্রাসবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার বক্তৃতায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে আমেরিকাকে পরমাণু সমঝোতা থেকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা দেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১? নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ট্রাম্পের দেওয়া এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আমেরিকার ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।
"