আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিজেদের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী সমুদ্রে ভাসাল চীন
প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি যুদ্ধবিমানবাহী একটি রণতরী সমুদ্রে ভাসাল চীন।
গতকাল দেশটির লিয়নিং প্রদেশের একটি বন্দর থেকে রণতরীটি সমুদ্রে যাত্রা করে। জানা গেছে, ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ যুদ্ধজাহাজ ২০২০ সাল নাগাদ পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে এবং চীনা নৌ বাহিনীতে যোগ দেবে। এটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ কুজনেতসবের আদলে তৈরি করা হলেও রণতরীটির নাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আপাতত এর নাম রাখা হয়েছে টাইপ ০০১এ। এটি চীনের দ্বিতীয় রণতরী। চীন এর প্রথম রণতরীটি ২০১২ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে কিনেছিল। সেটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কার একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী। নতুন এ যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে চীন তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজবাহী নিজেদের তৈরি রণতীর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করল বেইজিং।
তবে রণতরীটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক সেকেলে। অবশ্য চীন বলেছে, তারা এই রণতরীটির আকার আরো বড় করবে এবং আরো উন্নত করে তুলবে। এটি দৈর্ঘ্যে ১০৩৩ ফুট এবং প্রস্থে ২৪৬ ফুট।
প্রসঙ্গত, চীন এখনো নৌশক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। তবে তাদের সামরিক শক্তি দ্রুত বেড়ে চলেছে। প্রতি বছরই চীনের সামরিক ব্যয়ও বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই চীনের সামরিক ব্যয়। ২০১৭ সালে সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে ৬০৯ বিলিয়ন ডলার। আর চীনের ব্যয় হয়েছিল ২২৮ বিলিয়ন ডলার, যদিও দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ১৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮ সালে ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে চীন।
"