আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করলে উ. কোরিয়াকে সহায়তা’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যদি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি হয়, তাহলে তার দেশ পিয়ংইয়ংয়ের অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা করবে।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং ক্যায়াং-হোয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক বৈঠক শেষে পম্পেও এ কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
‘আমাদের দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে সমানতালে সমৃদ্ধি অর্জনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র’ বলেন কয়েকদিন আগেই পিয়ংইয়ং সফর করে আসা পম্পেও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের আগেই মার্চের শেষে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন সেময় সিআইএর পরিচালক থাকা পম্পেও। সেটিই ছিল দেড়যুগে কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর।
পিয়ংইয়ংয়ের হাতে বন্দি তিন মার্কিনিকে নিয়ে আসতে গত সপ্তাহেও এক দফা দেশটিতে যান পম্পেও। জুনে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে ‘শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ’ ওই মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেয় পিয়ংইয়ং।
সিঙ্গাপুরে আগামী ১২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার বৈঠক হওয়ার কথা।
কয়েক মাস আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের কথার লড়াইকে ঘিরে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা তরতর করে চড়ছিল। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে হওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তরের অংশগ্রহণের পর দুই কোরিয়ার টানাপোড়ন কমতে শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও পিয়ংইয়ংয়ের আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
দক্ষিণের একটি প্রতিনিধিদল কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার আমন্ত্রণপত্র ওয়াশিংটনে গিয়ে ট্রাম্পের হাতে তুলে দিলে, বিশ্বকে হতবাক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তা গ্রহণ করে উত্তরের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
দুই কোরিয়ার মধ্যে এপ্রিলে হওয়া উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে কিমের মধ্যে বৈঠকের তারিখ ও সময় জানান ট্রাম্প।
‘যদি চেয়ারম্যান কিম সঠিক পথ বেছে নেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের ভবিষ্যৎ শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হতে পারে,’ দক্ষিণের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের বলেন পম্পেও।
‘দ্রুত অপারমাণবিকীকরণে সাহসী পদক্ষেপ নিতে’ পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
"