আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

মা-বাবার মৃত্যুর চার বছর পর শিশুর জন্ম

গাড়ি দুর্ঘটনায় মা-বাবার নিহত হওয়ার চার বছর পর তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে সারোগেট মায়ের (তার জরায়ু ব্যবহার করা হয়) জন্যই। ২০১৩ সালে দম্পতি মৃত্যুর আগে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান লাভের আশায় বেশ কিছু ভ্রƒণ জমা করেছিল। দুর্ঘটনার পর দম্পতির মা-বাবারা সেই ভ্রƒণ ব্যবহারের জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াই করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে লাওসে শিশুটির জন্ম হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহেই চীনের সংবাদমাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে। শিশু, বাবা-মা, দাদা-দাদি সবাই চীনের নাগরিক।

চীনের নানজিং হাসপাতালে হিমাঙ্কের ১৯৬ ডিগ্রি নিচে নাইট্রোজেন ট্যাংকে ভ্রƒণটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর আদালত দাদা-দাদি, নানা-নানিকে ভ্রƒণ নিষিক্ত করার অধিকার দেন। এ ঘটনাটির কোনো নজির নেই।

এরপর আরেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় স্বজনদের। নানজিং হাসপাতাল থেকে ভ্রƒণ তখনই নেওয়া যাবে, যখন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তা সংরক্ষণ করতে সম্মত হবে। চীনের আর কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান মিলল না।

এ ছাড়া সারোগেসিও অবৈধ এই দেশে। ফলে দেশের বাইরে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো সমাধান ভাবল তারা।

ঘটনাক্রমে দাদা-দাদি, নানা-নানি লাওসের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিচয় ছিল। ফলে তাঁরা সেই দেশেই নিয়ে যান তাদের ভবিষ্যৎ নাতির ভ্রƒণ। লাওসে বাণিজ্যিকভাবে সারোগেসি বৈধ। লাওসে সারোগেট মায়ের জরায়ুতে ভ্রƒণ প্রতিস্থাপন করা হয় এবং গত বছরের ডিসেম্বরে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে টিয়ানটিয়ান। বাবা-মা না থাকাই দাদা-দাদি, নানা-নানির ডিএনএ পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এরপর শিশুটিকে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist