আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার প্রমাণ আছে
সিরিয়ার দৌমায় গত সপ্তাহান্তে সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র হামলার প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ হয়ে গেলেই সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমা দেশগুলো দৌমায় ওই রাসায়নিক হামলার জবাবে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে... অন্ততপক্ষে ক্লোরিন ব্যবহার হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আর সেটি প্রয়োগ করেছে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার।’ এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেলে সেখানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন এবং সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ভান্ডারগুলোকেই হামলার লক্ষ করা হবে বলে শাসিয়েছিলেন।
সিরিয়া অভিযানে ফ্রান্স সামিল হবে কি না সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এ পদক্ষেপ কতটা উপযোগী এবং কার্যকরী হবে তা বিচার-বিশ্লেষণ করে ঠিক সময়মতোই আমাদের সে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স এবং মার্কিন কর্মকর্তারা একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং পছন্দমতো সময়েই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যখন আমরা আমাদের পদক্ষেপটিকে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করব তখনই তা করতে হবে।’ সিরিয়ার অস্ত্র স্থাপনাগুলো হামলার লক্ষ্য হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদের সব তথ্য যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয় এমন কোনো কাজ ফ্রান্স করবে না। কিন্তু ফ্রান্স কোনো সরকারকে তাদের যা খুশি তাই করতে দিতে পারে না কিংবা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হয়, এমন কোনো ঘৃণ্য কাজও করতে দিতে পারে না।’
গত ৭ এপ্রিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিরিয়ায় উদ্ধার ও চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কয়েকটি দাতব্য সংস্থার বরাত দিয়ে দৌমায় রাসায়নিক হামলার খবর প্রকাশ করে।
সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ শহর দৌমায় এ হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
কোনো সংবাদমাধ্যমই স্বাধীনভাবে রাসায়নিক হামলার খবরের সত্যতা যাচাই করতে না পারলেও বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দৌমায় ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেছে, ‘লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে সেখানে উচ্চমাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিকের বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে।’
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দৌমার বিদ্রোহীদের। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোও এজন্য বাশার আল-আসাদ বাহিনীকে দায়ী করছে। তবে আসাদ সরকার এবং তাদের মিত্র রাশিয়া রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
"