আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন কংগ্রেসে ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকায় তথ্য পাচারকা-ে মার্কিন কংগ্রেসে ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ। গত সোমবার থেকে সেনেটে শুরু হয়েছে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার শুনানি। প্রথম দিনই, সেনেটে লিখিতভাবে তিনি স্বীকার করে নেন, এই পুরো ঘটনার জন্য তিনি নিজেই দায়ী। সেজন্য তিনি সবার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। তথ্য গোপন রাখার দায়িত্ব ছিল তাদের; যা তারা ঠিকভাবে করেননি। ভুয়া খবর, নির্বাচনে বিদেশি শক্তির প্রভাব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য আটকানোর জন্যও সেভাবে নজরদারি চালায়নি তার কোম্পানি। এর পেছনে রাশিয়ার কোনো হাত আছে কি না, তা এখনই তারা জানতে পারেননি। তদন্ত চলছে।
তবে আগামী দিনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য আরো সুরক্ষিত রাখতে জোরদার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এজন্য তিনি দায়বদ্ধ বলেও জানান জাকারবার্গ। মার্কিন হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি গত সোমবার শুনানি শেষে জুকারবার্গের এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবারও বাণিজ্য এবং বিচারবিভাগীয় কমিটির কাছে শুনানি আছে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার। তার জবাবে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো কড়া আইন আনতে পারে মার্কিন কংগ্রেস। কোম্পানির পক্ষেও জানানো হয়েছে, যেভাবে টিভি এবং রেডিওতে রয়েছে, সেভাবেই তারা এ ধরনের নতুন আইন সমর্থন করবে। ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন ফেসবুকের ডেটা প্র্যাকটিস নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
এদিকে, ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্যায় ই-কমার্স জায়ান্ট ‘আলিবাবা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে পাশে পেলেন জুকারবার্গ। চীনের সব চেয়ে ধনী জ্যাক। গত সোমবার হাইনানে তার কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, তিনি মনে করেন, এবার জুকারবার্গের কড়া হাতে এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা উচিত। তিনি অবশ্যই তা পারবেন। ১৫ বছর আগে যখন ফেসবুক শুরু হয়, তখন সেটি যে এভাবে বিশাল আকার নেবে কেউ ভাবেননি। এই একটি সমস্যার জন্য ফেসবুক কোম্পানিকে সম্পূর্ণ দায়ী করা অনুচিত।
"