আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ এপ্রিল, ২০১৮

সিরিয়ার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিতে পারেন ট্রাম্প

সিরিয়ার দৌমায় কথিত রাসায়নিক অস্ত্র হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, বাশার আসাদকে এ জন্য কঠোর মূল্য দিতে হবে এবং তিনি কোন বিকল্পই বিবেচনার বাইরে রাখছেন না। কিন্তু কী কী করতে পারেন তিনি? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে বেশ কিছু বিকল্প রয়েছে। তবে প্রত্যেকটিরই নিজস্ব কিছু অসুবিধাও রয়েছে। একটি হচ্ছে কূটনৈতিক পন্থা। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাশার আসাদের সামরিক ক্ষমতার পেছনে রাশিয়া ও ইরানের ভুমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করতে পারে না।

সুতরাং, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কোনো পদক্ষেপ যদি নেওয়া হয় তাহলে শুরু সিরিয়া নয় রাশিয়া ও ইরানও এর আওতায় পড়তে পারে।

তাছাড়া জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দলটি চেষ্টা করছে একটি আন্তর্জাতিক দল গঠনের, যারা রাসায়নিক অস্ত্র আক্রমণের তদন্ত করবেন। তবে রাশিয়া এরকম কোনো, প্রস্তাব আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এই প্যানেল কাউকে দোষী বলে চিহ্নিত করুক এটা তারা চায় না।

রাশিয়া বলেছে, সামরিক বিশেষজ্ঞরা দৌমায় বেসামরিক লোকদের ওপর কোনো ক্লোরিন বা রাসায়নিক অস্ত্র হামলার প্রমাণ পাননি।

সমস্যা হলো তদন্তকারীরা যদি সিরিয়ান শাসকদের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েও যান, তাহলেও নিরাপত্তা পরিষদ হয়তো কিছুই করতে পারবে না, তারা এতটাই বিভক্ত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিকল্প হচ্ছে, সীমিত পর্যায়ের সামরিক আঘাত। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কথা বলছেন। এখন থেকে ঠিক এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মতে যে ঘাঁটি থেকে রাসায়নিক আক্রমণ চালানোর জন্য সিরিয়ান যুদ্ধবিমানগুলো উড়েছিল। এটা ছিলে এক রকমের শক্তি প্রদর্শন, যার মূল বার্তা ছিল যে, এরকম হামলা বন্ধ করুন না হলে আরো বড় আক্রমণ চালানো হবে।

কিন্তু এরপর ১২ মাস পেরিয়ে গেছে। এই বার্তা সিরিয়ার কানে পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে একই রকম আক্রমণ চালিয়ে এবারই বা কতটা কাজ হবে?

এখানে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তৃতীয় বিকল্প, বড় আকারের সামরিক হামলা।

মার্কিন এরকম একটি বড় আকারের সামরিক আক্রমণের আদেশ দিলে তার লক্ষ্য হবে সিরিয়ার বিমানবাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে ক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস বা খর্ব করা । তবে এর ঝুঁকি অনেক। কারণ সিরিয়ার মিত্র হচ্ছে রাশিয়া এবং এরকম কোন পদক্ষেপ বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ফ্রান্স এবং ব্রিটেন-সিরিয়াকে কঠোর জবাব দেওয়ার কথা বলেছে, কিন্তু তারা ঠিক কতদূর পর্যন্ত শক্তি প্রয়োগ সমর্থন করবে?

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো কে সঙ্গে আছে বা নেই, তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।

তিনি একাধিকবার বলেছেন, তিনি একাই এগিয়ে যেতে তৈরি। সিরিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর নীতি কী হবে- সেটাও একটা বিবেচনার বিষয়। কিছুদিন আগেই মি. ট্রাম্প বলেছেন, ইসলামিক স্টেট পরাজিত হওয়ার পর সিরিয়া খুব শিগগিরই সিরিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু রাসায়নিক অস্ত্র ইস্যুতে তাকে যদি আবার সিরিয়ার ঘটনাবলিতে জড়িয়ে পড়তে হয়, তাহলে তার নীতির ভারসাম্যই বা কিভাবে রক্ষিত হবে?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এই সময়ের অনেকখানি এর মধ্যেই পেরিয়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist