আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিম-শি বৈঠক
নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে আমেরিকা
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কিম জং উনের গোপন বৈঠক আমেরিকাকে স্পষ্ট বার্তা দিলÑ বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা ছাড়া আপাতত কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ করতে চায় না উত্তর কোরিয়া। দুই দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কি সত্যিই বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন? বুধবার জানা গেছে, নিছক জল্পনা নয়, এই ‘বেসরকারি’ সফরের খবর ১০০ শতাংশ সত্যি। খবরের সমর্থনে বেইজিংয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের একাধিক ছবিও আজ প্রকাশ করেছে চীন এবং উত্তর কোরিয়া দুই দেশেরই সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেসব ছবিতে সস্ত্রীক, হাসিমুখের দুই নেতাকে দেখা যাচ্ছে। কোনোটায়বা তারা মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে খোশগল্প করছেন, কখনোবা তাদের হাতে ওয়াইনের গ্লাস। আলোচনার বিষয় নিয়ে সবিস্তার কিছু জানানো না হলেও বেইজিংয়ের দাবি, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তিনি যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিম সেটা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন শিকে।
কিমের এই সফরে সৌহার্দ্য-সৌজন্যের আড়ালে স্পষ্ট কূটনৈতিক চাল লুকিয়ে রয়েছে, বলছেন কূটনীতিকরা। ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার গবেষণা কেন্দ্রের জিন এইচ লির কথায়, ‘উত্তর কোরিয়া খুব সতর্কভাবে পা ফেলতে শুরু করেছে এবং তারা ভালোই বুঝতে পারছে যে, তাদের এই কূটনৈতিক যাত্রা সফল হবে, যদি বেইজিং তাদের পাশে থাকে।’ আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার কয়েক দিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা। লির কথায়, ‘ওয়াশিংটন বা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার আগে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে কিম আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিলেন, বেইজিং তার কত বড় বন্ধু!’
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক যদিও চিরকাল ভালো ছিল না। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কাকা জান-সং ঠেক-এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ এনে তাকে মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন কিম। ঠেক নাকি চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিমকে গদিচ্যুত করতে চেয়েছিলেন। আবার ২০১৬ সালে চীনে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক চলাকালীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেন কিম। এমনকি গত বছরে কিমের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পিয়ংইয়ংয়ে বিশেষ দূত পাঠিয়েছিলেন শি। তার সঙ্গে দেখা করতেই অস্বীকার করেন কিম।
কিম-শি বৈঠক নিয়ে আজ টুইট করেছেন ট্রাম্প। তার কথায়, ‘কাল রাতে শি আমাকে বললেন, কিমের সঙ্গে তার বৈঠক ভালোই হয়েছে। কিম তাকে জানিয়েছেন যে, আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’
"