আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডোকলাম আমাদের, শিক্ষা নিক ভারত : চীন
ডোকলাম নিয়ে চীনের গলা ফের সপ্তমে। দিল্লির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘গত বছর ডোকলাম নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
এমনিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর চরমে। তার ওপর ডোকলাম নিয়ে চীনের মন্তব্য যে নতুন করে দিল্লির ক্ষোভ বাড়াবে, তাতে সন্দেহ নেই। সম্প্রতি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামে হংকংয়ের একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ডোকলাম-কা-ের জন্য চীনকেই দায়ী করেন সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গৌতম বামবাওয়ালে। তার দাবি, ‘ভারত আগ বাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ করেনি। বরং চীনের সেনাবাহিনী ডোকলামের স্থিতাবস্থা পাল্টানোর চেষ্টা করায় ভারত পরিবর্তিত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছিল।’ এতেই চীন ফুঁসে উঠেছে। গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানিয়ে দেন, ডোকলাম তাদের এলাকা। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। অনেকেরই ধারণা, ডোকলাম নিয়ে চীন নতুন করে দাবি জানানোয় অশান্তির আশঙ্কা ফের প্রবল হচ্ছে। এমনিতে ডোকলাম মালভূমি ছোট্ট এক চিলতে এলাকা।
ভারতের মিত্র দেশ ভুটানের দাবি, ডোকলাম তাদের। কিন্তু কৌশলগত কারণে এর অবস্থান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, চীন এই এলাকা গিলে খাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
গত বছরের জুন মাসে ডোকলামের মাটিতে চীন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এরপর রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। টানা তিন মাস মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা। ডোকলাম নিয়ে ভারত এবং চীন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছিল। সে যাত্রায় যুদ্ধ এড়ানো গেলেও, চীন যে ডোকলাম নিয়ে তাদের দাবি থেকে সরে আসেনি, সেটা তাদের কথা থেকেই স্পষ্ট। ভারতকে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে, বেইজিংয়ের সাফ কথা, ডোকলাম ঐতিহাসিকভাবে তাদের এলাকা। ভারতের এই সত্যটা মনে রাখা উচিত।
"