আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ট্রাম্প-কিম আলোচনা রূপ নিতে পারে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে
সুড়ঙ্গ শেষে আলো দেখা যাচ্ছে। চরম যুদ্ধংদেহী মনোভাব এবং পারস্পরিক হুমকির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা উজ্জ্বলতর হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া জোরালো ভূমিকা চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এবার ত্রিদেশীয় আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানালেন। এই আলোচনায় তিনটি পক্ষ হবে যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
আন্তঃকোরীয় শীর্ষ বৈঠক প্রস্তুতি কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বুধবার দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন সাংবাদিকদের একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসেই এরকম একটি ঐতিহাসিক বৈঠক আয়োজনের জন্য জোর আলোচনা ও চেষ্টা তদ্বির চলছে।
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে এপ্রিল মাসে তার বৈঠক হবে। আর সেটা হবে বাইরের কোনো দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে উত্তর কোরীয় নেতার প্রথম বৈঠক। মুন জায়ে-ইন আরো বলেন, ‘এই আলোচনা এবং পরবর্তী আলোচনাসমূহের মধ্য দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে আমাদের অবশ্যই পরমাণু ইস্যুর সমাপ্তি টানতে হবে। শান্তির পথরচনা করতে হবে। অন্যের বিষয়ে অহেতুক নাক না গলিয়ে, একে অন্যের কোনো ক্ষতি না করে দুই কোরিয়ার একে অন্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করাটা খুবই সম্ভব ব্যাপার।’ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে এই বৈঠকটি আসলে ট্রাম-কিম বৈঠকের আগে ওয়ার্ম আপ মিটিং। অর্থা ট্রাম-কিম বৈঠকের জন্য অনুকূল পরিবেশ ও উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্যই এই বৈঠক।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একাধিকবারই ‘দেশ নামের নরক’ বলে অভিহিত করলেও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন; যা মে মাসের শেষভাগে অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৈঠকটি একান্তভাবেই দ্বিপাক্ষিক হবে এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল এতদিন, কিন্তু বৈঠকটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রূপ নেবে বলে বুধবার সাংবাদিকদের আভাস দিলেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। দ্বিপাক্ষিক হোক আর ত্রিপাক্ষিক হোক, এমন একটি বৈঠক যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তাহলে তা হবে রেকর্ডধারী বৈঠক।
"