আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ মার্চ, ২০১৮

দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত ফারুক টাকলা গ্রেফতার

ভারতে ফেরত

ভারতের পলাতক কুখ্যাত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত বলে কথিত ফারুক টাকলা দুবাই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে দুবাই থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাই পাঠিয়ে দেয়া হলে ভারতীয় পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

ভারতীয় পত্রপত্রিকাগুলো ফারুক টাকলাকে গ্রেফতার ও ফেরত পাঠানোর খবরকে ফলাও করে প্রচার করছে। এনডিটিভি এই গ্রেফতকারকে ‘বিগ ক্যাচ ফর ইন্ডিয়া’ বলে অভিহিত করেছে। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি ছিল। ‘ফারুক টাকলা’ বলে পরিচিত হলেও কুখ্যাত এই সন্ত্রাসীর আসল নাম ইয়াসিন মানসুর মোহাম্মদ ফারুক। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের ষড়যন্ত্র, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা, মুম্বাইতে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০০ মানুষকে হত্যা করাসহ নানা গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে তাকে মুম্বাইতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। তার এই গ্রেফতার ও ভারতে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে ভারত সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দাউদ ইব্রাহিম, মুরাদ টাকলা, ছোটা শাকিল ও বড়া শাকিলের মতো খুনি ও অপরাধ জগতের কুখ্যাত প্রতিনিধিরা ¯্রফে টাকার জোরে দুবাই ও পাকিস্তানে সহজেই আশ্রয় পেয়ে যায়। কিন্তু এবার ভারত সরকারের জোর কূটনৈতিক চেষ্টার কারণে দুবাইয়ে ধরা পড়ে দেশে ফেরত আসতে হলো ফারুক টাকলাকে। এর আগে মৃত্যুদ- দেয়া যাবে না শর্তে ভারতের আরেক কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সালেমকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছিল পর্তুগাল। সেই ঘটনাকেও বড় কূটনৈতিক বিজয় বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। এটা এক বিশাল সফলতা। কেননা সে (ফারুক টাকলা) ১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে পরিচালিত এক ভয়াবহ বোমা হামলায় তার ও দাউদ ইব্রাহিমের হাত ছিল। দুজনেই এই মামলার আসামি। মুরাদ টাকলাকে গ্রেফতার করে ভারতে ফেরত পাঠানোর এই ঘটনা ডি-গ্যাং নামে পরিচিত দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং-এর জন্য বিশাল এক আঘাতই বটে, বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকাম এএনআই বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে দাউদ ইব্রাহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মুম্বাই শহরের অন্তত ১২টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। এতে ২৫৭ জন মারা যায়। পঙ্গু ও আহত হয় ৭০০-এর বেশি মানুষ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিশেষ কমিটি গ্লোবাল টেরোরিস্টদের তালিকায় দাউদ ইব্রাহিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তু দাউদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। কারণ পাকিস্তান তাকে অলিখিত আশ্রয় ও গোপন সুরক্ষা দিয়ে আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist