আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বুরকিনা ফাসোর সামরিক সদর দফতর ও ফরাসি দূতাবাসে হামলা
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুতে সামরিক বাহিনীর সদর দফতর এবং ফরাসি দূতাবাসসহ কয়েকটি টার্গেটে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। দূতাবাসে চার হামলাকারী নিহত এবং সামরিক সদর দফতরে অন্তত দুজন হামলাকারী নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে বুরকিনা ফাসো সরকার।
হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত এবং আরো ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। অন্যান্য খবরে নিহতের সংখ্যা আরো বেশি বলা হয়েছে। ফরাসি রাষ্ট্রদূত শুক্রবারের সমন্বিত এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন। এক ফরাসি কূটনীতিক জানিয়েছেন, দূতাবাস পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
মাত্র দুই বছরের মধ্যে বুরকিনা ফাসোতে এটি তৃতীয় বড় ধরনের হামলা। এ হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। তবে এর আগের হামলাগুলো চালিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার মিত্র দলগুলো। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক লড়াইয়ে বুরকিনা ফাসো অংশ নেওয়ার জবাবে দেশটিতে জঙ্গিরা এসব হামলা চালাচ্ছে।
বন্দুকধারীরা শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মুখোশ পরে সামরিক সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা বিস্ফোরণেরও শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানায়। ঘটনাস্থলের ছবিতে আকাশে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অস্ত্রধারীদের গাড়ি থেকে নেমে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দূতাবাসের দিকে যেতে দেখেছেন।
থেমে থেমে গুলির আওয়াজ এখনো শোনা যাচ্ছে এবং এক হামলাকারীকে শহরের প্রধান বাজারে ঘেরাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলা কারা চালিয়েছে তা জানা না গেলেও বুরকিনা ফাসোর তথ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টিভি কে বলেছেন, এটি যে সন্ত্রাসী হামলা, সে ইঙ্গিত স্পষ্ট।
এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং মোট ৫০ জন আহত হওয়ার কথা তথ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। ওদিকে বুরকিনা ফাসোর পুলিশ প্রাথমিক খবরে বলেছে, ছয় হামলাকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হয়েছেন। আর দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, সামরিক সদর দফতরে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৮। তবে খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওয়াগুদুগুর মেয়র ফ্রান্সের ‘লা মন্ডে’ পত্রিকাকে বলেছেন, হামলাকারীরা টাউন হলে গুলি ছুড়েছে। এতে তার কার্যালয় ভবনের জানালা ভেঙে গেছে। এটি দৃশ্যত জিহাদি হামলা। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।
"