আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মেক্সিকোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসনের পদত্যাগ
মেক্সিকোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্টা জ্যাকবসন মে মাসের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগের কথা জানান বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদ ছেড়ে দেওয়ার যে হিড়িক চলছে, জ্যাকবসন তাতে সামিল হলেন। এ নারী এমন এক সময়ে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে করা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা) বাতিল ও সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের খরচ মেক্সিকো থেকে আদায়ের ধারাবাহিক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ‘৩১ বছর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের হয়ে কাজ করার পর মে মাসের শুরুতে নতুন সম্ভাবনার খোঁজে দায়িত্ব ছাড়ছি। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোরে মধ্যে দৃঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জেনেই দায়িত্ব ছাড়ছি। একসঙ্গে আমরা অনেক শক্তিশালী’- টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন জ্যাকবসন। তার পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সে কথা জানেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেক্সিকোর মার্কিন দূতাবাস জ্যাকবসনের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতির কথা উল্লেখ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মেক্সিকোর পত্রিকা রিফর্মার এক প্রতিবেদনে জ্যাকবসনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ট্রাম্প বহুজাতিক কোম্পানি এটিঅ্যান্ডটির সাবেক প্রধান নির্বাহী অ্যাড হুইটেকারের নাম বিবেচনা করছেন বলে জানানো হয়।
পরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা জ্যাকবসনের কাজের প্রশংসা করে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানায়।
মেক্সিকোতে জ্যাকবসনের জায়গায় কে দায়িত্ব পালন করবেন তার নাম যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৬ সালের মে মাসে মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আগে জ্যাকবসন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম গোলার্ধবিষয়ক সহকারী পরিচালক ছিলেন। ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এবং সীমান্তে দেয়াল নির্মাণসহ নানান বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করা জ্যাকবসন নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই চাকরিচ্যুত হবেন বলে অনেকে মনে করলেও শেষ পর্যন্ত তাকেই নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে হলো। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর জ্যাকবসন ‘ঠুঁটো জগন্নাথে’ পরিণত হয়েছিলেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা; মেক্সিকোর ক‚টনীতিকরাও বিভিন্ন বিষয়ে তার বদলে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তা বিশেষ করে জারেড কুশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলত বলে ভাষ্য তাদের। যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেক্সিকান ক‚টনীতিকরা, জ্যাকবসনকে গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করা হতো বলেও মন্তব্য তাদের। জ্যাকবসনের আগে গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা টম শ্যানন দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
"