আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি পালাচ্ছে গ্রামবাসী

কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক গোলা বিনিময়ের কারণে উরি সেক্টরের গ্রামগুলোর শত শত বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত শনিবার ভারতের কাশ্মির রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হুসেন এ কথা জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। এতে ওই এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত শনিবার ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি সেক্টরে তথাকথিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুপক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় শুরু হয়। তবে কী কারণে নতুন করে গোলা বিনিময় শুরু হয়েছে তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চলতি মাসে কাশ্মিরে ভারতীয় এক সেনা শিবিরে চালানো হামলায় ছয় সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত বলেছে, এর জন্য পাকিস্তানকে মূল্য চুকাতে হবে। পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ জানান, পাকিস্তানের ছোড়া গোলা উরি এলাকায় এসে পড়ছে, এ কারণে শত শত গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

ভারতীয় বাহিনীগুলো পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় এক কর্মকর্তা। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে এই প্রথম গোলাবর্ষণে ভারি কামান ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দেশ দুটির সেনাবাহিনী গত কয়েক বছর ধরেই এই সীমান্তে পরস্পরের বিরুদ্ধে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও মর্টারের গোলা বিনিময় করে আসছিল। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ একটি মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী ভারতীয় পাশের গ্রামগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমতিয়াজ। উরির একটি স্কুলে প্রায় ৭০০ লোক আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ।’ তাৎক্ষণিকভাবে এসব বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই বার কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভক্ত কাশ্মিরের দুটি অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু উভয়েই কাশ্মীরের পুরো মালিকানা দাবি করে আসছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তান একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ভারতের, অপরদিকে এ ধরনের কোনো কিছু করার কথা অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist