আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ
১৩ রুশ নাগরিক ও ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মার্কিন তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দুই বছর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে ১৩ রাশিয়ান নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে। এদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক জালিয়াতি এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে অন্যের পরিচয় ব্যবহারেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের বিশেষ তদন্তে এদের নাম এসেছে বলে খবর বিবিসি, রয়টার্সের। ৩৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে সেইন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক একটি ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থাসহ রাশিয়ার তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এ কোম্পানিগুলো ‘মার্কিন রাজনীতিতে অনৈক্যের বীজ বপণ করার কৌশলগত লক্ষ্যে’ কাজ করছিল বলেও এফবিআইয়ের অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে গত শুক্রবার সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে, বলছে হোয়াইট হাউস। দিনের শেষভাগে এক টুইটে প্রেসিডেন্ট রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি ‘কার্যত স্বীকার’ করে নিলেও এর সঙ্গে তার বা রিপাবলিকান শিবিরের কোনো ধরণের সংযোগ ছিল না বলেও ফের দাবি করেন। এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখার কথা বলে আসছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে কংগ্রেস ও বিচার বিভাগের তদন্তকেও বারবার একহাত নিয়েছিলেন তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সবসময়ই মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। রয়টার্স বলছে, মুলারের অভিযোগপত্রে রাশিয়ান নাগরিক ও কোম্পানিগুলোর নাম এলেও এদের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি সংযোগের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে ‘প্রজেক্ট লাখতা’ নামে মার্কিন রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কাজ শুরু করে অভিযুক্তরা, দাবি এফবিআইর। অভিযুক্তরা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে মার্কিন নাগরিক সেজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। পরিচয় পাল্টে তারা আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক কর্মকাÐ পরিচালনা করে, যেন সাধারণ আমরিকানরা তাদের ভিনদেশি না ভাবে।
"